বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির হুঁশিয়ারি বিজেপির

নিউজ ডেস্ক,নতুন গতি:-নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে চলমান বিক্ষোভের পেছনে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়াতে বিক্ষোভের আঁচ সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন ট্রেনকে আক্রমণ করছে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী মানুষেরা। আগুন জ্বালিয়ে চলছে পথ অবরোধ। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।

    রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, রাজ্যে এমন পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তবে বিজেপি রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন চালুর চেষ্টা করবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংখ্যালঘু ‘তোষণের নীতি’র জন্য দোষারোপ করে রাহুল বলেন, এই তোষণের ফলেই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার জন্য বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছেন, এখানকার শান্তিকামী মুসলিম সম্প্রদায় নয়।’

    অভিযোগ এনেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিরোধী দল থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংস করার এই তোষণের রাজনীতিকে উত্সাহিত করেছিলেন। যেহেতু বাংলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, এখন তারই নিজস্ব তোষণের নীতি, তার অতীতের আচরণ বুমেরাং হয়ে দেখা দিচ্ছে। তিনি পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।’

    নাগরিকত্ব সংশোধী আইন ২০১৯ অনুশারে ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রীষ্টান ও পারসি সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্থান থেকে ভারতে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই তিন দেশই মুসলিম প্রধান দেশ। তাই সেদেশে বিভিন্ন কারণে অত্যাচারিত এই ছয় সম্প্রদায়ের সংখ্য়ালঘুরাই এই সুবিধা পাবেন। নয়া আইনে মুসলমানদের বাদ রাখা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস, এর ফলে ভারতীয় মুসলমানদের কোনও ভয়ের কারণ নেই। তাদের অস্তিত্ব ঘিরে কোনও প্রশ্ন নেই।

    দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ‘বহু উদ্বাস্তু, শরনার্থীর ভোট দেওয়া অধিকার থাকলেও উপযুক্ত নাগরিকত্ব ছিল না। বিজেপি তাদের বহু দিনের দাবি পূরণের চেষ্টা করেছে। এতে ভুলের কী আছে?’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘ওই তিন রাষ্ট্রই মুসলিম প্রধান হওয়ায় সেখানে তাদের নিরাপত্তাহানীর কোনও বিষয় নেই। ফলে সেদেশের মুসলমানদেরও ভারতে প্রবেশের প্রয়োজন হয়নি। তাই আইনে মুসলমানদের কথা বলা হয়নি।’

    নতুন আইনের অপব্যাখ্যা করে তৃণমূল সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্ররোচিত করছে বলে অভিযোগ করেন গেরুয়া দলের রাজ্য সভাপতি