বন্যা পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক হলেন খুরশেদ আলী কাদরি।

লুতুব আলি, নতুন গতি, ২৬ সেপ্টেম্বর : বন্যা পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক হলেন খুরশেদ আলী কাদরি। ডিভিসি ও পাঞ্চেত জলধার থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে জল ছাড়ার ফলে রাজ্যের ৯টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফল করছেন ও বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন বন্যা মোকাবেলা করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফর চলাকালীনই বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ও অন্যান্য আধিকারিকদের বদলি করা হল। নবান্ন থেকে এই বদলিকে যদিও রুটিন বদলি বলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলার ঘাটতির কারণেই এই বদলি। পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় এই জেলার জেলা শাসক ছিলেন কে রাধিকা আয়ার। সূত্রের খবর: পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় এই জেলার জেলা শাসক কে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে নাকি সেখানেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলা শাসক হলেন আয়েশা রানী। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরে ডিভিশনাল কমিশনার ছিলেন। এর আগে তিনি এই পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক থাকাকালীন আয়েশা রানী অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি ২০০৯ ব্যাচের আই এ এস। আয়েশা রানী এই জেলার জেলা শাসক এর পদে আসীন থাকাকালীন পুলিশকে না জানিয়ে গভীর রাতে ও আচমকা স্পর্শকাতর এলাকা এবং দপ্তরে হানা দিতেন। মোহনপুরের ভগ্ন বীরেন্দ্র সেতু দিয়ে ভারি যান বাহন আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এই সাহসী পদক্ষেপকে এই জেলার সাধারণ মানুষেরা বাহবা জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে সরকারিভাবে এই জেলায় মুক্ত চাষের সূচনা করেছিলেন। চাষীদের কাছেও আয়েশা রানী ছিলেন অতি প্রিয়। শালবনী এবং ঘাটালে মাদারহাট চালু করেছিলেন। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরি দার্জিলিং এর অতিরিক্ত জেলাশাসক ছিলেন। তিনি ২০১৩ ব্যাচের আইএএস। দপ্তরের সাফল্যের নিরিখে দুজনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সু নজরে ছিলেন। রাজ্যের ১১ জন আইএএস আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছে। এই ১১ জনের মধ্যে নতুন মহকুমা শাসক রাহ হলেন রানাঘাটের ভরত সিং, গঙ্গারামপুর এর অভিষেক শুক্লা, কাটোয়ার অহিংস জৈন, ক্যানিংয়ের মিঠুন বিশ্বাস, আরামবাগের রবি কুমার মিনা, দার্জিলিং এর মিরিকের তেনজিং সেমকি ওগেন, খাতরার ড. শুভম মৌর্য, মান বাজারের এম হোসেন, রঘুনাথপুরের বিবেক পঙ্কজ, ইসলামপুরের প্রিয়া যাদব, ডোমকলের শুভঙ্কর বালা। এছাড়াও ১২জন আই এ এস আধিকারিকদের নতুন অতিরিক্ত জেলা শাসক করে বদলি করা হয়েছে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, পূর্ব বর্ধমানের প্রতীক সিং, দার্জিলিং এর সুমিত কুমার রাই, মোঃ আব্দুল শহিদ প্রমুখ।