|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, ২৪ আগস্ট : বর্ধমানের আদিবাসী তরুণীর খুনিকে গ্রেফতার করলো বর্ধমানের পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার নাদুরে ১৪ আগস্ট খুন হন আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা। কলকাতার চিকিৎসক তিলোত্তমা খুনের জের কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা ঘটায় বর্ধমানে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খুনের ৯ দিনের মাথায় পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা তথা জেলা পুলিশ প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা খুনের কিনারা করল। ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে অজয় টুডু কে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা কে অজয় টুডু খুন করে পলাতক ছিল। প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা খুন হওয়ার অব্যবহিত পর আদিবাসী সমাজ খুনিকে ধরার জন্য ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ এসে পথ অবরোধকারীদের খুনিকে ধরবার প্রতিশ্রুতি দেন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ: প্রিয়াঙ্কা ও অজয়ের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর আগে আলাপ হয়। তারা দুজনেই বেঙ্গালুরুতে কাজ করতেন। দুজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। তারা দুজনেই গতবারই আগস্ট বর্ধমানে ফেরেন। অজয় টুডুর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে। বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে অজয় টুডু বাড়ি না গিয়ে বর্ধমানেরই কোন জায়গায় থেকে যায়। ১৪ আগস্ট নাদুর গ্রামের মাঠে গভীর রাত্রে প্রিয়াঙ্কা হাঁসদাকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়। বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমানদীপ ২৪ আগস্ট প্রিয়াংকা হাঁসদার খুনি ধৃত অজয় টুডুর ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার আমানদীপ জানান, ধৃত অজয় টুডুকে গ্রেফতার করার জন্য জেলা পুলিশের ৩১ জনকে নিয়ে টিম তৈরি করা হয়। এই খুনিকে ধরতে অনেক বেগ পেতে হয়। বর্ধমান জেলা পুলিশের এক্সপার্ট পুলিশ অফিসারেরা পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বেঙ্গালুরুতে ছড়িয়ে যান। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ এই খনিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে যথেষ্ট ভাবে সহযোগিতা করেছেন। পুলিশ সুপার আর ও জানান, ধৃত অজয় টুডুকে এদিনই আদালতে তোলা হবে এবং ১০ দিনের পুলিশি রিমাইন্ডিংয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে। এই খুনিকে গ্রেফতার করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। গত ৬ বছর পুলিশ সুপারের পদে থেকে এই ধরনের বেগ কোনদিন তাঁকে বেগ পেতে হয়নি বলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন! পুলিশ রিমাইন্ডিং এ নিয়ে ধৃত অজয় টুডুকে খুন হওয়ার সমস্ত কিনারা করবেন বলে পুলিশ সুপার আমানদীপ জানান। খুব দ্রুত ইনভেস্টিগেশন করে এই খুনের চার্জশিট আদালতে পেশ করা হবে। শক্তিগড় থানা ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ খুব দ্রুত এই খুনের খুনিকে গ্রেপ্তার করায় অনেক সন্তোষ প্রকাশ করেন।