|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : বর্ধমানের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে খাদ্য উৎসব। শীতের মরশুম মানেই বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠেন। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ যেমন লেগেই থাকে এরই আবহে উৎসবের আনন্দঘন মুহূর্তগুলি আক্ষরিক অর্থে সীমার বাঁধন ছিঁড়ে যায়। বর্ধমান শহরের কাঞ্চন নগর উদয় পল্লী এলাকার মানুষের প্রাণের বিদ্যালয় কাঞ্চন নগর দিননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজন করেছিল এক অভিনব খাদ্য উৎসব। ৮ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ১৫ টি টল মিলিয়ে মোমো, চাউমিন, চিকেন পাস্তা, পরোটা, ফুচকা, পিঠে আলুকাবলি, কচুরি, আলুর দম, ঠেকুয়া, ঘুঘনির পর্চা সাজিয়ে বসেছিলেন অভিভাবকরা, শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষক, শিক্ষিকারা, বিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মীরা, ছাত্র-ছাত্রীরা, তাদের বন্ধু বান্ধবীরা এবং স্থানীয় মানুষজন এলেন, লিখলেন কেনাকাটা করলেন, উৎসবে মাতোয়ারা হলেন! এই খাদ্য উৎসবের আয়োজক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শ্যামলী দাস জানালেন, কাঞ্চন নগর উদয়পুর এলাকার অনেক মহিলারা দারুন দারুন রান্না জানেন। তাঁরাই মূলত এই খাদ্য উৎসবে স্টল দিয়েছেন। বাঙাল রান্নার পিঠে একটা স্পেশালিটি। এদিনের কেনা বেচায় তাদের যেমন বিক্রি হলো অন্যদিকে ক্রেতারাও তাদের চেনা খাবারের কিছু অচেনা স্বাদ পেলেন। শিক্ষক বাসুদেব মন্ডল জানালেন, সরকারের নির্দেশে বছরের শুরুতে যে স্টুডেন্ট উইক চলছে তারই একটি উদ্যোগ এটি। মূলত স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৃদ্ধি করারই উদ্দেশ্য এবং তাকে আমরা সফলও হতে পেরেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা পুষ্টিবিদ ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, ক্রমাগত জাঙ্ক ফুড ছোটদের হরমোন ক্ষরণ এবং স্নায়বিক ক্রিয়ায় প্রতি সাধন করছে। এতে তাদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাতও ঘটছে। ধৈর্য রেখে বেশিক্ষণ করতে পারছে না তারা। খাদ্য উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে সাধারণ উপকরণের তৈরি খাবার ও সুস্বাদু করা যায়। এতে ছোটরা সুষ্ঠু থাকে, মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। পাশাপাশি এই জাতীয় মিলনমেলায় স্থানীয়দের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বিদ্যালয়কে সমাজের মধ্যে অঙ্গাঙ্গিভাবে শ্বাস নিতে সাহায্য করে, বিচ্ছিন্নতা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সম্প্রীতির বাকার বরণ তৈরি করা যায়।