|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, ৩১ আগস্ট : বর্ধমান কার্জন গেটে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে সি পি আই এম এর তাণ্ডব। অভিযোগ, আইন অমান্য আন্দোলন করতে গিয়ে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট ও কোর্ট চত্বর এলাকা কার্যত সিপিআইএম এর কর্মীরা তাণ্ডব ও ধ্বংসলীলা চালালো। আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ সেলিম। কার্জন গেট চত্বরে বিশ্ববাংলা লোগো, রাজ্য সরকারের ১১ বছরের উন্নয়নমূলক কাজের বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্স, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সিপিআইএমের কর্মীরা ভেঙে ফেলে ও ছিঁড়ে দেয়। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্রেও তারা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এদিন বর্ধমান শহরের নীলপুরের লালটু স্মৃতি সংঘ থেকে সিপিআইএম কর্মীরা মিছিল করে কার্জন গেট চত্বরে চলে এসে ধ্বংসলীলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের চারটি ব্যারিকেট ভেঙে কর্মীরা জেলা প্রশাসনের অফিসে ঢুকে পড়ার প্রচেষ্টা চালায়। লাঠি ও ইটের আঘাতে অনেক পুলিশ কর্মী যখন হয়েছেন। পুলিশ অবশেষে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুঁড়ে বিক্ষোভকারী সিপিআইএম কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার প্রচেষ্টা চালায়। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় আইন হাতে না তুলে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করার জন্য সংযত হওয়ার জন্য বারে বারে ঘোষণা করতে থাকে। অভিযোগ পুলিশের এই ঘোষণা কে অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ধ্বংসলীলা চালাতে থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেছেন, আইন অমান্য নাম করে সিপিআইএমের গুন্ডারা সেদিন বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্রে ধ্বংসলীলা চালায় ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবদুল রব বলেছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে এসে সিপিআইএমের কর্মীরা একপ্রকার ধ্বংসলীলা চালালো ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করল। তারা বিজেপির মত ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৩৪ বছরের পচে বিজেপির মতো ধ্বংসাত্ম ক আন্দোলনের সংস্কৃতি দিয়ে লাইন লাইম লাইটে আসতে চাইছে। এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় বর্ধমানে সিপিআইএমের অফিসগুলি ধ্বংস করতে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ মিনিট সময় লাগবে না। তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস নয় বলে ই এই পথে যেতে চায়না। তবে এক্কেবারে চুপ করে আর বসে থাকা যাবে না। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এই ঘটনার কথা জেনে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। জানা গেছে, বর্ধমান জেলা পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিক্ষোভ কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।