বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাজা প্রাপ্ত বন্দিদের নৃত্যানুষ্ঠান।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাজা প্রাপ্ত বন্দিদের নৃত্যানুষ্ঠান। চার ঘন্টার প্যারোল পেয়ে আবার খোলা আকাশের নিচে মুক্ত পরিবেশে মানুষের মধ্যে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাজা প্রাপ্ত বন্দিরা , বর্ধমান উৎসব ময়দানে খাদ্য মেলার সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য অনুষ্ঠান করলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী মেহেবুব হাসান এর নিয়মিত প্রশিক্ষণে সাজা প্রাপ্ত বন্ধুদের নৃত্যশিল্পীর ভূমিকায় দেখা গেল। সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের নৃত্য ভঙ্গিমা, মুদ্রার মাধুর্যে নৃত্য পরিবেশন ায় দিন দিন উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতার হয়ে উঠছে। এবারের মেলা প্রাঙ্গন মঞ্চে সাজাপ্রাপ্তবন্দীরা শিল্পীদের নিবেদন ছিল লোকনৃত্য, উপশাস্ত্রীয় নৃত্য, সৃজনশীল নৃত্য। মেহেবুব হাসান এর ভাবনা ও পরিচালনায় মন দে উড়ান শীর্ষক নৃত্য আলেখ্য পরিবেশন সকলকে মুগ্ধ করে। উদ্বোধনী নৃত্য সত্যম শিবম্ সুন্দরম সংগীতের উপর অপূর্ব উপস্থাপনা ছিলনা অনবদ্য। পরে একে একে নৃত্য উপস্থাপনায় ছিল বন পাহাড়ি সাজে, ধিতাং ধিতাং বলে, দিল চিস কিয়া, প্রেম রতন, অসমীয়া লোকনৃত্য। খাদ্য মেলার অনুষ্ঠানের শেষ নিবেদন ছিল গভীর অরণ্যে বসবাসকারী মানুষদের নিয়ে শিকারী নৃত্য। তাদের পোশাক, রূপসজ্জা ও নৃত্য পরিবেশনার ভাবনা দেখে উপস্থিত দর্শকরা প্রশংসা করেন নৃত্যশিল্পী মেহবুব হাসানের। তাঁর নিরলস পরিশ্রম জেলবন্দিদের প্রকৃত শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলছেন। দুটি একক নৃত্যে মানুয়া মজুমদার সকলকে মুগ্ধ করেন। এবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ১৪ জনের একটি দল সুন্দর ছৌ নিত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের সমানভাবে আনন্দ দেন। তাদের পরিবেশনায় ছিল ক্রিয়াত অর্জুনের যুদ্ধ ও অর্জুনের বাসুবত, অস্ত্র লাভ। ছৌ নৃত্যে অর্জুন, গণেশ ও নর্তকীর ভূমিকায় অভিনয় ও নৃত্য করেন দয়াল প্রামানিক, ইমেজ সিং মুডা, হোক কানাই প্রামানিক। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বহরমপুরের ডিআইজি নবীন সাহা, সুপার সৌভিক সরকার, জেলাস সম্রাট ভট্টাচার্য সহ সংশোধনাগারের আধিকারিকগণ। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারী সাজা প্রাপ্ত বন্দী শিল্পীরা হলেন অমিত বাউরী, শেখ ইসরাইল, আকাশ লেট, মুক্তা মাল, সাধন লেট, উৎপল দাস।