বর্ধমানে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের যোদ্ধারা মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ১২ ডিসেম্বর : বর্ধমানের দীপশিখা সাংস্কৃতিক সংস্থা আয়োজিত ১১ ডিসেম্বর বর্ধমান উদয়চাঁদ গ্রন্থাগারের সভা ঘরে মরণোত্তর চক্ষুদান, অঙ্গদান ও দেহ দানের শিবির এবং এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক মহোৎসব অনুষ্ঠিত হল। সহযোগিতায় ছিল দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি ও দ্য মিশন পশ্চিম বর্ধমান। সকলকে স্বাগত জানান সংস্থার পুরোধা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শিখা সরকার, শেখ নাজমুল। এদিনের মরণোত্তর চক্ষুদান অঙ্গীকার শিবিরে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী, সমাজ সেবীরা অংশগ্রহণ করেন। সমাজের এই ধরনের মানুষেরা এগিয়ে আসায় দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটির অন্যতম কর্মকর্তা মনোজ ভট্টাচার্য ও দ্য মিশন পশ্চিম বর্ধমানের সাধারণ সম্পাদক মাধব ঘোষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বন্যার্ধ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা, গান, আলোচনা ও গুণী ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন প্রতিবন্ধী শিশু বাচিক শিল্পী ঐন্দ্রিলা বোস, ঐশিক বোস, পর্না সাহা, সুমিতা ব্যানার্জি, নন্দিতা সাহু, সৈয়দ হাসনে হারা বেগম, ভূষণ সেনগুপ্ত, শ্বেতা চট্টোপাধ্যায়, আঞ্জুমনোয়ারা আনসারী। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সঞ্চালক শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী, জয়রাম মন্ডল, রুস্তম ইরানি। সংগীত পরিবেশন করেন লাবণ্য নন্দী, অনামিকা কোনার, চন্দনা সরকার, সুমিত্রা ভট্টাচার্য, মাহাতাবুর রহমান, সৌম্য মন্ডল, স্বাতী ব্যানার্জি, মুক্তা রায় প্রমুখ। মাউথ অর্গান বাজান সোমনাথ দাস। মনোজ ভট্টাচার্য জানান, এই শিবিরে ২৪ জন মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হন। এখন ও অনেকে এগিয়ে এসেছেন। দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর চক্ষুদান সংগ্রহকারী সংস্থা হিসেবে রাজ্যের দ্বিতীয় স্থানে পদার্পণ করেছে। এ দিনের অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও কবি মুক্তা রায়।