|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ৩ নভেম্বর, বর্ধমান সরকারি মডেল মাদ্রাসা(ইং মিডিয়াম) বিশ্ব নবী দিবস উদযাপন হলো সাড়ম্বরে। উপস্থিত ছিলেন আলী হোসেন মিদ্দা(সম্পাদক রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা সমিতি), আনসার আলম,নাসির উদ্দিন ,অধ্যাপক ড. সাবেরা খাতুন হেনা, উজির আলী (শিক্ষা রত্ন ২২), ও বর্ধমানের বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক্ষা অনুরাগী শেখ মনোয়ার হোসেন। বিশ্ব নবীর জীবন চরিত নিয়ে আলোচনা ও বিশ্ব নবীর আদর্শ,কোরআন হাদিসে বিদ্যা শিক্ষা, ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে আদর্শ শিক্ষা বিস্তার,ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়,বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিজ্ঞানমুখী শিক্ষা ছাড়া বিশ্বের কোথাও প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যাবে না সেই জন্য ইংরেজি মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার কথা প্রত্যেক অতিথি তাদের বক্তব্যে ছত্রে ছত্রে তুলে ধরেন। সারা রাজ্যে ৬১৪ টি সরকারি মাদ্রাসা আছে, ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সিদ্ধান্ত নেন প্রতি জেলায় একটি করে ইংরাজি মাধ্যমে মাদ্রাসা চালু করা হবে। ২০১৫ বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে বাম চাঁদায় পুড়ে এই মাদ্রাসার ভবন কাজ শুরু হয়। এবং ২৮-৪-২০১৫ তারিখে বর্ধমান শহরের ছোট নীলপুর হযরত মানিক পীর বয়েজ হোস্টেলে মাদ্রাসার শুভ সূচনা হয়। তিন বছর পর ২০১৮ তে দশকোটি টাকা ব্যযে মাদ্রাসার নিজস্ব ঝা চকচকে ত্রিতল ভবনে মাদ্রাসা উঠে আসে।
উক্ত মডেল মাদ্রাসা সংখ্যালঘু চরিত্র অক্ষুণ্য রেখে অন্যান্য জাতির ছাত্র-ছাত্রীদেরও ভর্তি নেওয়া হয়। বর্তমানে ছাত্র /ছাত্রী সংখ্যা ৬৬৫ জন, মাদ্রাসায় ২৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা বর্তমান যদিও মাদ্রাসায় ৬ জন স্থায়ী শিক্ষক আছেন আরো ৬ জন স্থায়ী শিক্ষক প্রয়োজন, পঠন পাঠন হয় সাধারণ মাদ্রাসা ও স্কুল বোর্ডের ইংরেজি মাধ্যমের সিলেবাস অনুযায়ী,
মডেল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন একজন দক্ষ প্রশাসক ও শিক্ষক উনি সকলকে নিয়ে চলতে সক্ষম, অভিভাবকগণ খুবই প্রধান শিক্ষকের ব্যবহারে আপ্লুত। অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় অন্যান্য স্কুলের মতন এই মডেল মাদ্রাসায় মিড ডে মিল দেওয়া হয় না অথচ সাধারণ স্কুলে মিড ডে মিল পাওয়া যায়। এই নিয়ে অভিভাবকদের মৃদু ক্ষোভ আছে।বর্ধমানের গর্ব এই মডেল মাদ্রাসার উত্তরোত্তর শ্রী বৃদ্ধি কামনা করি।