বর্ধমান শহরের শরিফা বাদের একটি প্রাচীন মসজিদ অনুসন্ধান মেলে।

শেখ মনোয়ার হোসেন, বর্ধমান : ২৮আগষ্ট বর্ধমান শহরের অর্থাৎ মুঘল যুগের” শরিফা বাদের “একটি প্রাচীন মসজিদ পরিদর্শন করলাম। বর্ধমান শহরের প্রবেশদ্বার বিজয়তরন দিয়ে রাজবাড়ী অভিমুখে রানীগঞ্জ চৌমাথা থেকে রাধানগর পাড়ার দিকে এগিয়ে গেলেই রাস্তার ডান হাতে গলির ভিতর দেখতে পাওয়া যাবে” মাক্কি মসজিদ” বা ” মক্কা মসজিদ” এর ঠিক উল্টোদিকে অর্থাৎ বিসি রোডের ডানহাতে রানীগঞ্জ বাজারে এইরকমই দেখতে আরেকটি মসজিদ আছে যার নাম “মাদিনা মসজিদ” তার কথা পরের দিন বলবো। এই মাক্কী মসজিদ একটি প্রাচীন মসজিদ, আমার অনুমান এই মসজিদগুলি ব্যক্তিগত জমিদারদের বা নবাব বাদশাদের উচ্চ শক্তিসম্পন্ন মানুষদের নিজস্ব ব্যবহারের এর জন্য তৈরি হয়েছিল। এটি আনুমানিক ৩০০ বছরের পুরাতন বা আরো বেশি হতে পারে, এরও গঠন প্রণালী প্রাচীন মসজিদগুলির অর্থাৎ পারস্যের গঠন প্রণালীর মতন গঠনশৈলী, এক গম্বুজ ,চারটি মিনার, খিলেনের কাজ, পুরাতন নকশা, দরজা ও জানলার গোল খিলানের উপর দাঁড়িয়ে আছে গোল গম্বুষ্টি, পশ্চিমে মীম্বার, উত্তর দক্ষিনে জানালা, পূর্ব দিকে দরজা। প্রাচীন নিয়ম মতো চুনসুরকির গাঁথনি যার ইটের হাইট ছোট ছোট, এটির E C নম্বর ১৩৭৯৪ , এটি ওয়াকফ বোর্ডের এনরোলমেন্ট হয়েছিল ১৯৬০ সালে, প্রথম মতোয়ালি ছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ (তেতুলতলা বাজার), এটি ওয়াকফ বোর্ডে রাধানগর মসজিদ বোলে উল্লেখ আছে, এর প্রচুর সম্পত্তি ছিল যা আজ বেহাত হয়ে গেছে, বর্তমানে শুধু মসজিদটি দাগ নাম্বার ৩০৪৩ খতিয়ান নাম্বার 6377 পরিমাণ 30 ছটাক। মসজিদের ১/২ কিলোমিটার এর মধ্যে কোন মুসলিম বসবাস করে না, তবে এই মসজিদের একটু দূরত্বে ই রাধানগরপাড়ায় বর্তমানে ১৬-১৭ ঘর মুসলিম বসবাস আছে। বর্তমান মসজিদের মতোয়ালি অ্যাডভোকেট কুদরাতুল আবেদীন সাহেব, বর্তমানে মসজিদটির মূল কাঠামো ঠিক রেখে সামনের দিকটা নতুন নির্মাণ কার্য হয়েছে যা প্রাচীন হেরিটেজের ভয়ঙ্কর ক্ষতিসাধন করেছে। যা খুবই দুঃখজনক।