মাপযোগের পর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ মিথ্যা প্রমান হলো

 

    নতুন গতি,মালদা;২৪ সেপ্টেম্বর: মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত। যে পঞ্চায়েতের দপ্তরটি রয়েছে চণ্ডীপুর গ্রামে।সেখানে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টাকায় নতুন করে পঞ্চায়েতের ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।কিন্তু আলতাফুর রহমান রাজি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন তাঁর জায়গায় পঞ্চায়েতের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ হচ্ছে। এই নিয়ে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও কে অভিযোগ জানান।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ জায়গার মাপ যোগ করা হয়। মাপযোগের পর দেখা যায় সেই অভিযোগ ভুল।উল্টে পঞ্চায়েতের বেশ কিছু জায়গা দখল করে রেখেছে ওই ব্যক্তি।

    প্রসঙ্গত ১৯৭৮ সালে চণ্ডীপুর গ্রামে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত হয়।সেই সময় গ্রামে পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণের জন্য কিছুটা জমি দান করেছিলেন আলতাফুর রহমান রাজি।তিনি তৎকালীন পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন।পরে যখন পঞ্চায়েত ভবন বড় করে হয় সেই সময় তিনি আরও কিছুটা জমি পঞ্চায়েতের কাছে বিক্রি করেন।তারপর চলে গেছে বহু বছর।বর্তমানে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টাকায় আবার নতুন করে পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।আর সেই নির্মাণ যে জায়গায় হচ্ছে সেই জায়গা তার।এই নিয়েই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি এবং তার ছেলেরা।তারপরে আজ দুই পক্ষের আমিন দিয়েই জমির মাপ যোগ করা হয়।জমির মাপ যোগ হওয়ার পর দেখা যায় পঞ্চায়েতের প্রায়ই ১ শতক জায়গা দখল করে রেখেছে ওই পরিবারই।

    যদিও আজ মাপ যোগ হয়ে সব কিছু প্রমান হয়ে যাওয়ার পর তাদের ভুল হয়েছিল বলে সাফাই দেন আলতাফুরের ছেলে রাজিউল রহমান রাজি । তিনি বলেন,”পঞ্চায়েতের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে।আমরা ভেবেছিলাম সেখানে আমাদের কিছুটা জায়গা দখল করা হয়েছে।কিন্তু আজ মাপ যোগ হয়ে যাওয়ার পর আমরা দেখলাম সেটা ভুল।আর আমরা জানতে পারলাম আমার বাবা পঞ্চায়েতের কাছে জমি দান করেছিল।আমরা সেটা জানতাম না।হয়তো বাবাও ভুলে গেছিল তাই অভিযোগ করেছে।আমাদের বুঝতে ভুল হয়েছিল। ”

    অভিযোগকারী আলতাফুর রহমান রাজি বলেন,”মাপ যোগের পর যখন প্রমাণ হয়ে গেছে তাহলে সেখানে আর কিছুই বলার নেই।আসলে আমারও ঠিক ভাবে মনে ছিল না।শুনলাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও ডিলের কাগজ দেখানো হয়েছে।এখন এটা নিয়ে আমাদের আর কোনো আপত্তি নেই।”

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামউদ্দিন আহমেদ বলেন,”যে অভিযোগটি উঠেছিল সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে মিথ্যা তা প্রমাণ হয়ে গেছে।পঞ্চায়েতের চারপাশে আরও যাদের ব্যক্তি মালিকানার জমি রয়েছে।অনেকেই হয়তো পঞ্চায়েতের জমি কিছুটা দখল করে রেখেছে।অনুরোধ করব তারা জনগণের স্বার্থে সেই জমি যাতে ছেড়ে দেয়।”

    রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুষ্প রবিদাস এর স্বামী সদানন্দ রবি দাস বলেন,”দুই পক্ষের আমিন দিয়েই মাপ যোগ হয়েছে।উল্টে শেষে দেখা গেছে পঞ্চায়েতই তাদের কাছে প্রায় এক শতক জমি পাবে।আমার মনে হচ্ছে বিরোধীরা চক্রান্ত করে আমাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে আসছে।কারণ তৃণমূল পরিচালিত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীরা কোন জায়গা পাচ্ছে না।তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিজেদের জায়গা পাওয়ার বৃথা চেষ্টা করছে তারা।”