প্রাচীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করলো রোমানিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় বেবস-বোলয়াই ইউনিভার্সিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা : ন হণ্যতে”-এর মৈত্রেয়ীর সঙ্গে রোমানিয়ার মির্চা এলিয়াডের সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি, কিন্তু প্রচুর মানুষের কাছে তাঁদের আত্মজীবনী ভারত এবং রোমানিয়ার সম্পর্ককে অনেক মজবুত করেছে অনেকটা কাছে টেনে এনেছে এই দুই দেশকে। মির্চা এলিয়াডের বইতে পড়া কলকাতাকে চিনে সেই কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করলো রোমানিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় বেবস-বোলয়াই ইউনিভার্সিটি।

    ৫ বছরের জন্য এই মৌ স্বাক্ষরিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। এই মৌ-এর মাধ্যমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রী বিনিময় হবে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও সুবিধা পাবেন এই মৌ-এর। পরিকাঠামোগত ভাবে গবেষণার কাজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য করবে রোমানিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থনৈতিকভাবে এই মৌ-এর সমস্ত কর্মসূচির খরচ ভাগ হবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা একে অন্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াবেন।দিল্লীর রোমানিয়ান দূতাবাস থেকে এই মৌ স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে কলকাতা এসেছিলেন রোমানিয়ার অ্যাম্বাসাডর ড্যানিয়েলা মারিয়ানা সেজনভ। চুক্তি স্বাক্ষর করার পাশাপাশি কলকাতায় এসে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী মৈত্রেয়ী দেবীর বাড়িও ঘুরে দেখেন তিনি। তিনি জানান, “শহরটির কথা বইতে এর আগে পড়েছি। সেইখানে এসে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমি সম্মানিত। আশা করি দুই দেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই মৌ এর ফলে উপকৃত হবে।”কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রীমতী সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুব ভাল একটি পদক্ষেপ এটি। আমরা খুবই আনন্দিত।”দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই মৌ-এর ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের পথ আরও অনেকটা প্রশস্ত হবে বলেই মনে করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে কৃষ্টি বাংলার গর্ব, সেই কৃষ্টি বিশ্বের দরবার এও সমাদৃত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্পরিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কও এই মৌ স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে উন্নতি হবে এমনটাই মনে করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।