খবরের জের,মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগেই দুঃস্থ ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোরের পাশে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : খবরের জেরে নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর মালদা সফরের আগেই ক্যান্সার আক্রান্ত কিশোর পরিবারের বাড়ি পরিদর্শনে গেলেন মালদা জেলা পরিষদের নারী,শিশু ও ত্রাণ কর্মাধক্ষা মর্জিনা খাতুন। গতকাল সংবাদ মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত নাসিরুদ্দিনের খবর সম্প্রচার হয়। তারই জেরে অবশেষে টনক নড়লো প্রশাসনের। আর্থিক সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন মালদা জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান।

     

    গতকাল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছিল এই কিশোরের কথা। ক্যান্সারে আক্রান্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা এলাকার নাসিরুদ্দিন। বাবা মামুন রাজস্থানের আজমিরে শ্রমিকের কাজ করেন। এমনিতেই দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীর দায়িত্ব রয়েছে মামুনের উপর। তার উপর ছেলের ক্যান্সারের কথা শুনে মাথায় বাজ পড়েছিল পরিবারটির। বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিল নাসিরুদ্দিন। অবশেষে চিকিৎসার জন্য তাকে স্ত্রীর সাথে হরিশচন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রামের বাড়ি পাঠান মামুন। গ্রামের বাড়ি এসে ক্যান্সার ধরা পড়ে ছেলের। তারপর থেকেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এই পরিবারটি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে তারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, কাগজ জমা দেওয়ার পরেও এখনও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাননি তারা। এমনকি মেলেনি আবাস যোজোনার ঘরও। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। কেমন করে চিকিৎসা চালাবে তারা?

     

    অবশেষে ভোটের প্রাক্কালে সংবাদ মাধ্যমের চাপে পড়ে নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। এইদিন মালদা জেলা পরিষদের নারী, শিশু ও ত্রাণ কর্মধক্ষা মর্জিনা খাতুন নাসিরুদ্দিনের অবস্থা পরিদর্শনে এসেছিলেন। এবং সেখানে গিয়ে তিনি পরিবারের লোকের সাথে কথা বলে তাদের আশ্বাস দেন যে তিনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করবেন। এমনটাই আশ্বাস দিলেন। এবং সাথে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানও ঐ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর্থিক সাহায্য করেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

    এইদিন মর্জিনা খাতুনের সাথে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মোহাম্মদ নূর আজম,মহিলা নেত্রী শেফালী খাতুন।নাসিরুদ্দিনের মা নাসিমা জানান, “আমার বাচ্চাকে দেখতে এসেছিলেন মর্জিনা দিদি। তিনি বলেছেন কার্ড হয়ে যাবে। আমি মমতা দিদি্য উপর ভরসা রাখছি।”মর্জিনা খাতুন এইদিন কুশিদা এলাকায় এসে বলেন, “আমার তরফ থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করেছি। ব্লকে কথা বলেছি, সবাই দেখছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুব্যবস্থা করে দেওয়া আয়। আগামীকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন আমি ওনার সাথে এ বিষয়ে কথা বলব।”