|
---|
সুবিদ আলি মোল্লা, উত্তর ২৪ পরগনা : উত্তর চব্বিশ পরগণার দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত বেলিয়াখালি গ্রাম। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। অশিক্ষার অন্ধকার ঘরে ঘরে । কাছাকাছি বিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও বড় বেশি শিক্ষাবিমুখ এলাকার মানুষ। সেবামূলক এনজিও “প্রান্তজনের” উদ্যোগে শিশু শিক্ষার প্রসার ঘটাতে বেলিয়াখালি গ্রামে একটি শিক্ষা সচেতনতা মূলক শিবিরের আয়োজন করা হয় । শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানান। সচেতনতা শিবিরে অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয় । প্রতিষ্ঠিত হল শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান “সহজ পাঠ”। প্রান্ত জনের পক্ষ থেকে যেসব গুণীজন আধুনিক এবং অভিনব পদ্ধতিতে শিশু শিক্ষা প্রদানে সহায়তা করছেন বা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারা হলেন
প্রফেসর দেবব্রত মজুমদার, প্রফেসর বীরেন্দ্রনাথ দাস, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, শিবপুরের পদার্থবিদ্যার বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ মিনহাজ, শিক্ষক কাজী রায়হান, প্রফেসর শফি মল্লিক ও শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ। “সহজপাঠ” শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পেছনে যাদের উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতা বিশেষভাবে উল্লেখ্য তারা হলেন ডাক্তার রউফ মোল্লা ও ডাক্তার শর্বরী ঘোষ । সম্প্রতি সংবাদপত্র প্রতিনিধিকে বিদ্যালয় এর শিক্ষক- কোঅর্ডিনেটর আসিব উদ্দিন মন্ডল জানালেন ” শুরু থেকেই আমরা লক্ষণীয়ভাবে সাড়া পেয়েছি গ্রামের মানুষের কাছ থেকে। প্রতি মাসে আমাদের শিক্ষকরা গ্রামের অভিভাবকদের সঙ্গে বসেন এবং ছাত্রদের প্রগতির বিষয়ে আলোচনা করেন। ” তিনি আরও জানালেন “শ্রেণিকক্ষে ওয়ার্ক কার্ডের মাধ্যমে গ্রুপ ওয়ার্ক করানো হয় । খেলতে খেলতে অংক শেখার অভিনব পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়। প্রতিদিন জাতীয় সংগীতের পর সাধারণ জ্ঞানের কিছু প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে।” যেসব শিক্ষকরা অশিক্ষার অন্ধকারে শিক্ষার আলো জ্বালার দায়িত্ব নিয়েছেন তারা হলেন জুলফিকার আলী,সাইফুদ্দিন মন্ডল, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও তুহিনা পারভীন ।