|
---|
শামিম মোল্যা, নতুন গতি, বসিরহাট: হিমের পরশ পড়তেই নলেন গুড় যা বাঙালির রসনায় তৃপ্তি জুড়ি মেলা ভার। পৌষ পার্বণের সময় পিঠে পুলি এবং মিষ্টির দোকানের রকমারি নলেন গুড়ের মিষ্টি পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। টাকী-হাসনাবাদ, মিনাখাঁ ,সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, একাধিক জায়গা খেজুর গাছ কাটা হয়। সেই খেজুর-গাছের-রস শিউলিরা বাড়িতে জ্বাল দিয়ে সুস্বাদু নলেন গুড় তৈরি করে। হাসনাবাদের নলেন গুড় কোলকাতার শহরতলী ও বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায় অবাধে। মিনাখার বাসিন্দা শিউলি সুভাষ ঘোরুই জানান আমাদেরএই সমস্ত এলাকায় প্রচুর খেজুর গাছ ছিল এক সময় রাস্তার পাশ দিয়ে রাস্তা চওড়া হবার সময় প্রচুর গাছ কাটা পড়েছে। এবং পুরাতন ভিটেবাড়ি যে সমস্ত মহাজনদের ছিল তারা ছোট ছোট পুলাট করে বিক্রি করে দিয়েছেন সেই সময় হাজার হাজার খেজুর গাছ কাটা পড়ে গেছে । এছাড়াও টাকি সুন্দরবন এলাকায় বেশকিছু কংক্রিটের আবাসন ইট ভাটার ইট কাটার জন্য প্রচুর সংখ্যক খেজুর গাছ কেটে ফেলেছে।তাই আগের তুলনায় সেই রকম বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করা যায় না। খেজুরের পাটালি দামটাও বেশি পড়ে যায় কম পরিমাণে খেজুরের রস পাওয়ায় চাহিদার তুলনায় আমরা সেইরকম ভাবে যোগান দিতে পারিনা।
আগেই কলকাতা থেকে প্রচুর অর্ডার আসতো হাসনাবাদ টাকিতে। লোকমুখে শোনা যায় শহরতলীতে খেজুরের গুড়ের একটা অন্যরকম চাহিদা ছিল। কিন্তু অর্ডার আসলেও আমরা তো আর চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লাই দিতে পারিনা খেজুরের রস এর অভাবে। নলেন গুড় কিনতে আসা ক্রেতা গড়িয়ার বাসিন্দার সুমন চক্রবর্তী জানান ট্রেন চলছে তাই টাকিতে আত্মীয়র বাড়ি এসেছিলাম তাই ভাবলাম বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় টাকি হাসনাবাদে খুব ভালো নলেন গুড় পাওয়া যায় ঘুরতে ঘুরতে গ্রামে চলে আসলাম ভাবলাম বেশ করে নলেন গুড় কিনে নিয়ে যাব । কিন্তু এখনো তো জাঁকিয়ে শীত পড়ে নি সেই কারণে খেজুর-গাছের-রস কম হচ্ছে। এবং সকালে শিউলি দের বাড়িতে এসে নিজে বসেই রস জ্বালানি দেখব এবং খাঁটি নলেন গুড় নিয়ে যাওয়ার আশায় এসেছিলাম। কিন্তু শিউলিরা বলছেন খুব বেশি আজ খেজুরের রস সংগ্রহ করতে পারিনি ।তাই অতটা নলেন গুড় আপনাকে দিতে পারবো না। ইচ্ছা থাকলেও বাড়ি এবং আত্মীয় স্বজনের জন্য চাহিদামত নলেন গুড় নিয়ে যেতে পারলাম না।