|
---|
বাংলা পক্ষর লড়াইয়ের বিরাট জয়। আড়িহাদহের হোলি চাইল্ড স্কুলের চাকরি ফেরত পেল ছাঁটাই হওয়া বাংলার শিক্ষিকা।
নতুন গতি প্রতিবেদক: সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নজরে আসে উত্তর ২৪ পরগণার আড়িয়াদহে “হোলি চাইল্ড” নামের একটা স্কুলে বাংলা ভাষার শিক্ষিকাকে ছাঁটাই করা হয়েছে, কারণ বলা হয়েছে, বাংলা এখানে অস্তিত্বহীন ভাষা (Non-Existent Language)। ভাবা যায় বাংলার মাটিতে বাংলা ভাষা অস্তিত্বহীন! জনবিন্যাস বদলের সাথে নিজের মাটিতে বাঙালির ক্রমশ অস্তিত্বহীন হওয়ার পরিণতি আজকের এই ঘটনা। বাংলা পক্ষ এই ঘটনাকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে আজ স্কুলের সামনে এক বিক্ষোভ সভা করলো। সভা থেকে দাবি উঠলো অবিলম্বে এই লজ্জাজনক নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে হবে এবং বাঙালি শিক্ষিকার চাকরি ফেরত দিতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলার সব স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক না করার জন্য বাংলার সরকারের সমালোচনা করেন সংগঠনের নেতৃত্ব।
সব স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হবে বলে ২০১৭ সালে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলন, ৬ বছর হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি কেন? প্রশ্ন তোলের গর্গ চট্টোপাধ্যায়। অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করার দাবি করেন তিনি।
ভারতের সব রাজ্যে স্কুলে সেই রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক। বিজেপি শাসিত গুজরাটে গুজরাটি, বাম কেরালায় মালায়লম, তামিলনাড়ুতে তামিল, ওড়িশায় ওড়িয়া বাধ্যতামূলক। বাংলা কেন ব্যতিক্রম হবে? তিনি আরও বলেন, “বাংলার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো চুপ কেন? কাদের স্বার্থে চুপ? বহিরাগতদের ভোটের এত দাম?”
বাংলা পক্ষ এই বিষয়ে সব সময় রাস্তায় আছে। আজ আড়িয়াদহের মাটিতে যে প্রতিবাদ শুরু হল তা আগামীদিনে বৃহত্তর আকার নেবে। আজকের এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষ সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শহরাঞ্চল সংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, বাংলা ছাত্র পক্ষর রণ ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন জেলার শতাধিক সহযোদ্ধা এই বিক্ষোভ সভায় সামিল হয়েছিলেন।
বাংলা পক্ষর তীব্র আন্দোলনের ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে উক্ত স্কুলের বাঙালি শিক্ষিকাকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দিল। এই জয় বাংলা পক্ষর জয়, বাঙালি জাতির জয়। আগামী দিনে কোন স্কুল বাংলা ভাষা মুছে দেওয়ার এরকম ঘৃণ্য চক্রান্ত করলে বা কোন বাঙালি শিক্ষক/ শিক্ষিকাকে এরকম অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হলে বাংলা পক্ষ তার পাশে থাকবে এবং বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।