বাহার সুরঝর্না ও আনন্দী বাচিক সংস্থার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান সল্টলেকে।

লুতুব আলি, নতুন গতি : বাহার সুরঝর্না ও আনন্দী বাচিক সংস্থার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান সল্টলেকে। কলকাতার দুই প্রতিথযশা সাংস্কৃতিক সংস্থা বাহার সুরঝর্না ও আনন্দী বাচিক সংস্থা আয়োজিত রবীন্দ্র নজরুল সন্ধ্যা ও বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠান হয়ে গেল সল্টলেকের রবীন্দ্র ও কাকুরা ভবনে। অনুষ্ঠানের নান্দনিক সূচনা লগ্নে বাহার সুরঝর্না গ্রুপের দুটি উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হয়। পরিচালনায় ছিলেন সংহিতা ভট্টাচার্য। পর্যায়ক্রমে আনন্দী বাচিক সংস্থার উপস্থাপনায় ছিল পরপর তিনটি কবিতা। প্রথমে গান সহযোগে কবিগুরুর কৃষ্ণকলি কবিতাটি। সংহিতা ভট্টাচার্য রচিত নববর্ষ সাবলীল ভাবে পাঠ করলেন আনন্দে বাচিক সংস্থার পরিচালিকা বন্দনা ব্যানার্জি। সহ শিল্পীরা ছিলেন মিতা সেনগুপ্ত, তৃণা দত্ত, অনিল দত্ত, শুভ্রা দত্ত, উর্মি মালা চট্টোপাধ্যায়, রিনি দত্ত চৌধুরী, কস্তুরী রায়, মধুমিতা দাস, বন্দনা ব্যানার্জি ও সংহিতা ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী সংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন প্রণতি দুয়ারী। মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় পরপর বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত, নৃত্য ও কবিতার উপস্থাপনা দিয়ে সবার মন ভরিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন গোপা দাস মজুমদার, মুনমুন ভট্টাচার্য, বিতস্তা চ্যাটার্জি, পৌষালী গুপ্ত, কস্তুরী মুখার্জি, সুচিস্মিতা গোস্বামী, কুমকুম নাগ, মধুমিতা নন্দী, সুচেতা দাস, পাপিয়া মালাকার, বিদিশা ভট্টাচার্য, অমর চন্দ্র দত্ত, অর্পিতা জানা সাহু, ডঃ ঝুলন বন্দ্যোপাধ্যায়, উর্মি মালা চট্টোপাধ্যায়, কস্তুরী রায়, রনজয় ব্যানার্জি, শ্রাবণী ব্যানার্জি, স্বাগতা চৌধুরী, মোনালিসা দেব, কুমকুম সেন, শর্বরী সাহা, তৃণা দত্ত, প্রিয়াঙ্কা দাস নায়েক, চৈতালি রায় ঠাকুর, সুপ্রিয়া ভৌমিক। গ্রুপ তিনটি ছিল প্রথমা, গান মঞ্চ ও unique Choir তাদের সুন্দর পরিবেশনা নিয়ে। সুরেলা গ্রুপের কেয়া দত্ত, শিল্পী সেনগুপ্ত, সুমিতা ঘোষ, অনুসূয়া গোস্বামী, পম্পা দাস একক পরিবেশনায় ছিলেন। গানের তরী গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার জ্যোতির্ময় পণ্ডিত। তিনি তার সুরেলা কণ্ঠে সুন্দর দুটি রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন। এই অনুষ্ঠানে তালবাধ্য শিল্পী ছিলেন বিশ্বরঞ্জন নন্দী, কি বোর্ডে ছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ দত্ত এবং পার্কাসনে ছিলেন তরুণ দত্ত। তাঁদের সম্মিলিত বাঁধন সবার পছন্দের ও এবং অনুষ্ঠানটিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মিডিয়া পার্টনার ছিলেন দেবাশীষ ব্যানার্জি, যিনি অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার উজ্জ্বল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি এক অন্য মাত্রা দেয়। অনুষ্ঠানের প্রথমেও শেষ অংশে সঞ্চালনায় ছিলেন বন্দনা ব্যানার্জি। বর্ণালী চৌধুরী মাঝের অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালনায় ছিলেন। অনুষ্ঠানটিকে সার্বিকভাবে পরিচালনা করতে সহযোগিতা করেন অধ্যাপক দুর্গাদাস ভট্টাচার্য। সংহিতা ভট্টাচার্য বলেন, এ দিনের বর্ণময়ী অনুষ্ঠানটি সকলকে স্পর্শ করেছে।