|
---|
লুতুব আলি, নতুন গতি : ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের প্রয়াণ দিবস পালন কলকাতায়। আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম ওরফে এ পি জে আব্দুল কালামের নবম প্রয়াণ দিবস পালিত হল কলকাতার কফি হাউসে। রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বজনের উদ্যোগে ভারতের মহামান্য প্রাক্তন প্রয়াত একাদশতম রাষ্ট্রপতি মিসাইল ম্যান, যুব সমাজের আইকন এ পি জে আব্দুল কালামের প্রয়াণ দিবস মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন স্বজনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর মাদ্রাজের রামেশ্বরমে এপিজে আবদুল কালামের জন্ম হয়। পিতার নাম আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন, মাথা, আশিয়াম্মা। অত্যন্ত গরিব মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই ত্যাগী, সদা হাস্যময়, অতি সরল এই বিরল মানুষটি। কালাম সাহেব মিসাইল ম্যান হিসেবে সমগ্র বিশ্বের কাছে আজও সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর পিতা ছিলেন মসজিদের ইমাম সাহেব। কালাম সাহেব পিতার পঞ্চম সন্তান ছিলেন। তাঁর একাগ্রতা, সহিষ্ণুতা এবং কঠোর সংগ্রামের ফলে ভারতবর্ষের উচ্চ শিখরে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। শৈশব অবস্থা থেকেই তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তাঁকে সংসারে সহায়তা করার জন্য কাগজ বিক্রিও করতে হয়েছিল। অবক্ষয়ী সমাজ ব্যবস্থায় কালাম সাহেব ছিলেন এক বিরল প্রকৃতির মানুষ। তাঁর আদর্শ নিয়ে এবং বিজ্ঞানে তাঁর সৃষ্ট দিকগুলি নিয়ে চন্দ্রনাথ বসু কফি হাউসের অনুষ্ঠানে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানের চন্দ্রনাথ বাবু বলেন, বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত চলছে তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে এবং প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ও সমাবেশ করতে হবে। সেদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অমিতাভ দত্ত, লোকসংগীত গীতিকার, কবি ও শিক্ষক সোমনাথ চক্রবর্তী, কবি শিক্ষিকা ও সাহিত্য সংগঠক সুলেখা বিশ্বাস, বাচিক শিল্পী নবলতা শীল, শঙ্খ শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট কবি কৌশিক গাঙ্গুলী। চন্দ্রনাথ বসু আর ও বলেন আগামী ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন কলকাতায় এই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে কবিতা ও কথার মাধ্যমে এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।