অদম্য ইচ্ছে থাকলে কোনও বাধাই যে বাধা নয় তার প্রমাণ ভারতী মুদি

নিজস্ব প্রতিবেদক:-স্বপ্নপূরণের ইচ্ছে। অদম্য ইচ্ছে থাকলে কোনও বাধাই যে বাধা নয়, তার প্রমাণ ভারতী মুদি। নিতান্ত সাধারণ ঘরের এক বধূ। তাঁর সাদামাটা আটপৌরে জীবনে ফুটবল হল বেঁচে থাকার রসদ। এক সময় এই ফুটবল নিয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াতেন। কিন্তু ওই যে সমাজ। যে সমাজ তাঁর ইচ্ছেতে লাগাম পরিয়ে দিল। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের দুমদুমি গ্রামের ভারতী মুদি ফুটবল সরিয়ে রেখে হাতে তুলে নিল সংসার। তাঁকে বোঝানো হল, এই খেলা মেয়েদের নয়, ছেলেদের। তাই হাতা খুন্তি নিয়ে ছেদ টানতে হল ইচ্ছেতে। হল না ইচ্ছেপূরণ।কিন্তু না, ভারতী হার মানবার পাত্রী নন। মনের সুপ্ত ইচ্ছাকে তিনি মরে যেতে দেননি। বিয়ে, সংসার, সন্তান, তারপরেও ভুলতে পারেননি ফুটবলকে। আসলে মজ্জায় মিশে থাকা অবদমিত ইচ্ছে যে তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াত। তাই এবার সমাজের সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উপযুক্ত জবাব দিলেন তিনি। মেয়ের বান্ধবীদের নিয়ে গ্রামে গড়ে তুলেন ফুটবল টিম। যে টিমের সব সদস্যই পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর পরিবার থেকে উঠে আসা। এই টিমের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব তুলে নিলেন ভারতীদেবী নিজের কাঁধে।ভারতী আজ শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরে কলকাতার বুকে মহিলা দল হিসাবে বাঁকুড়া জেলার নাম রেখেছে। আজ তাঁর দলের বেশিরভাগ মেয়েই স্বনির্ভর। মহিলা দলের সম্মান দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মিলেছে সিভিক পুলিসের চাকরি।আর সমাজের ভ্রূকুটি নয়। মিলেছে রাজ্যস্তরের সম্মান। ভারতীদেবীর স্বপ্ন, আগামী দিনে  মেয়েরা খেলবে আন্তর্জাতিক খেলা। সেই লক্ষ্যপূরণেই অটল থাকতে চান তিনি।