কার হাত ধরে হবে টিকিট বন্টন আশঙ্কায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা

কার হাত ধরে হবে টিকিট বন্টন আশঙ্কায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা।

    নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক:২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় শাসকদলের প্রার্থী কে পরাজিত করে জয় হন বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং বছর ঘুরতেই যোগদান করেন বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে।

    তারপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে সামনে আসে চেয়ারম্যান বনাম বিধায়ক গোষ্ঠী কোন্দল তা গোটা রাজ্য বাসীর কাছে পরিচিত।

    একাধিকবার রাজ্য নেতৃত্ব ছুটে এসেছেন এই শান্তিপুরে গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে ব্যর্থ তিনারা ও স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখা গেছে দুই বিবদমান রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করতে।

    তাতেও সুফল হয়নি, জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক এসে সতর্ক করেছেন তবুও সেই একই ধাঁচে রয়ে গেছেন দুই পক্ষ।
    কখনো চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কর্মশালায় অনুপস্থিত বিধায়ক অথবা কখনো বিধায়কের রাজনৈতিক কর্মসূচি তে অনুপস্থিত চেয়ারম্যান।
    এই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন এলাকার পুরনো দিনের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদেরকে বলতে শোনা গেছে হয়তো বা এই দুজনের বদন্যতায় তৃণমূল কংগ্রেস দলটা অস্তিত্ব না হারাই শান্তিপুর থেকে।

    ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পুরসভার নির্বাচন যে কোনো মুহূর্তে ঘোষণা হতে পারে পুরসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট।

    তার আগে শান্তিপুরের অলিতে-গলিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে কার হাত ধরে হবে এই পুরো নির্বাচনের টিকিট বন্টন?

    দলের শীর্ষ নেতাদের মুখ থেকে একাধিকবার শোনা গেছে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা “পিকে” তিনার পরামর্শে টিকিট বন্টন হবে।
    তবুও কার্যত হতাশ করেছেন সাধারণ কর্মীরা, দুই নেতার দিকেই তাকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সহ সাধারণ মানুষজন।

    এখন দেখার যদিও বা বিধায়কের হাত ধরে টিকিট বন্টন হয় সেক্ষেত্রে কি পুরনো কাউন্সিলরদের টিকিট দেওয়া হবে? কেননা একই দলে থাকতে একাধিকবার প্রকাশ্যে জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে একাধিক নেতা সহ স্বয়ং বিধায়ককে বলতে শোনা গেছে আগামী দিনে স্বচ্ছ পুরসভা মানুষের কাছে উপহার দেওয়ায় তিনারা মূল কাজ। এখন দেখার যদি বিধায়ক এর নেতৃত্বে টিকিট বন্টন হয় আদেও কি পুরনো কাউন্সিলররা টিকিট পাবেন?

    অপরদিকে বর্তমান শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে ঝুলিতে রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বাম জামানাতে তৎকালীন সিপিএম কে কার্যত বাউন্ডারির বাইরে বার করে একাধিকবার ক্ষমতা দখল করে রেখেছে এই পৌরসভা এলাকা।
    লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তীতে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে নদীয়া জেলাকে দুই ভাগে ভাগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে শান্তিপুর বিধানসভা এলাকা রানাঘাট জেলা হিসেবে পরিচিতি ওই এলাকার মধ্যে অবস্থিত। এবং এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অজয় দের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা শংকর সিংহ।

    দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই শান্তিপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হারিয়ে যাওয়া পদ ফিরে পান শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গোষ্ঠী। তারপরই ফের একবার শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় ক্ষমতার চলে যায় চেয়ারম্যান গোষ্ঠীর কাছে।

    এর পরই থাকে চেয়ারম্যান গোষ্ঠী তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের মনে আশারবাণী শুনতে থাকে যে হয়তো বা এই পুরো নির্বাচনে অজয় দে কে সামনে রেখে পুরো নির্বাচনে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুরনো কাউন্সিলর রায় নিজেদের ওয়ার্ডে লড়াই করার সুযোগ পাবেন।
    এখন দেখার কি সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব।