|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : বিধায়ক আসে না গ্রামে এমনই অভিযোগে তুলে ব্লক সভাপতিতে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। এতে চরম বিশৃঙ্খলার পরলেন ব্লক তৃণমূল নেতা। গলসি ১ নং ব্লকের পুরাতন গ্রামে এলাকার স্যোশাল মিড়িয়ায় এমনই ছবি ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে দিদির দূতের কর্মসুচিতে শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন গ্রামে গিয়ে যতেষ্ট বেগ পেতে হয় গলসি ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জীকে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কারন যে সত্য তা কার্যত স্মীকার করে নেন জনার্দ্দন বাবু । তিনি বলেন, ওই দিন তার সাথে বেশ কয়েকটি গ্রামে দলীয় কর্মসুচিতে যান গলসি বিধায়ক নেপাল ঘরুই। সেখান থেকে তিনি তবে পুরাতন গ্রাম যান। এর পরই গ্রামবাসীরা তাকে ঘিরে ধরে ক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন। তবে তারা কেউ তার কথা শুনতে চাননি। অবশেষে তিনি তাদের বুঝিয়ে কয়েকদিন পর যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর পাশাপাশি গ্রামবাসীদের দাবী গুলি যথাযোগ্য জায়গায় পৌছে দেবার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবী, এখন ভোটের জন্য নেতারা এসেছেন তাদের গ্রামে। একটা ভোট দেওয়া হবে না তাদের গ্রাম থেকে। তারা বলেন, বিধায়ক সুন্দলপুর থেকে ভয়ে পালিয়ে গেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর তার দেখা নেই। গ্রামে রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন হয়নি। স্কুলের ভিতর দিয়ে জল যায়। গ্রাম থেকে বের হবার রাস্তা দীর্ঘদিন সারাই হয়নি। তাই এবছর তারা ভোট বয়কট করবেন। তাছাড়া তাদের গ্রামের কেউ ভোট দেবে না তৃণমূলকে। ব্লক সভাপতির সামনে বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্তর ক্ষোভ উগরে দেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ওই বিষয়ে গলসি বিধায়ক নেপাল ঘরুই জানান, তিনি দুতিন দিন আগে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। তার আগে খেলার মাঠে গিয়েছিলেন। ওই গ্রামে নিত্য যাতায়াত আছে তার। গ্রামবাসীদের একটি রাস্তার কাজ হবে। তবে কারা গতকালের বিক্ষোভের বিষয়টি তিনি জানেন না। কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা তিনি জানেন না। তার দাবী, কেউ হয়তো চক্রান্ত করেছে। তারা কি দলের লোক কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তা তিনি জানেন না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।