|
---|
পারিজাত মোল্লা : উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করলো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮ তম প্রয়াণদিবস। সোসাইটি অফিসের তিনতলায় সুসজ্জিত প্রশস্ত পাঠাগার কক্ষে গত বুধবার ৩০শে আগস্ট বিকাল ৫-৩০ মিনিটে যথাযথ মর্যাদা সহকারে পালিত হয় প্রয়াত কবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ। সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ও কর্মসমিতির সদস্য সৌমিত্র বন্দোপাধ্যায় কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে বলেন – সোসাইটির এই পাঠাগার কক্ষটি গর্ব করার মতো একটি মহা মূল্যবান সম্পদ, এখানে বাংলা সাহিত্যের গবেষণালব্ধ নানা অমূল্য বই এর সম্ভার সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে; যার বেশীর ভাগ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত পত্র পত্রিকা ও রবীন্দ্র তথ্যবিষয়ক বইপত্র। সোসাইটি এই পাঠাগার কক্ষটিতে নতুন নতুন ভাবনায়, আঙ্গিকে ছোট ছোট আকারে জ্ঞানগর্ভমূলক আলোচনা, অনুষ্ঠান ইত্যাদির আয়োজন করে থাকে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী, তাঁর সাহিত্যকৃতি বিশেষ করে তাঁর রবীন্দ্রপ্রীতির কথা সবিশেষ উল্লেখ করেন। এর পর সোসাইটির শিল্পীসদস্যবৃন্দের পরিবেশনায় নিবেদিত হয় একটি গীতি-আলেখ্য “স্মরণে নজরুল”। নজরুলগীতি নজরুল কবিতা সমন্বয়ে, যথাযথ ভাষ্য যোগে আলেখ্যটি পরিবেশনা কালে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গীতি-আলেখ্যটির মূল ভাবনা, তথ্যানুসন্ধান, তথ্যবিন্যাস ও নির্মাণে সদস্যা মানসী ভট্টাচার্য্য। সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে – শিপ্রা বসু, ললিতা সিনহা, জবা মুখোপাধ্যায়, তরুণ মুখোপাধ্যায়, তমাল পাল, বিশ্বনাথ দাস ও মানসী ভট্টাচার্য্য। কবিতা ও ভাষ্যপাঠে আদিত্য দাস, অপর্ণা চন্দ। বাংলায় শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বাঙালির আর এক উৎসব রাখীবন্ধনকে উপলক্ষ্য করে নিবেদিত হয় একটি আলেখ্য ‘বন্ধন’ শিরোনামে। এটির ভাবনা ও নির্মাণে সদস্যা বুলা বাগচী। অংশগ্রহণে অঞ্জন চন্দ্র, ইরা সর্বজ্ঞ, শুচিতা গাঙ্গুলী, মল্লিকা রায়, কাকলি পোদ্দার ও বুলা বাগচী। নাগাল্যান্ড রাজ্য থেকে আগতা শ্রীমতী ফাল্গুনি শর্মা একটি নজরুল কবিতা আবৃত্তি করেন যা হয়ে ওঠে হৃদয়গ্রাহী।