|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : ২৭ শে মে, ২০২৩ শনিবার, গলসির স্টেশনের কাছে ঝড়ে ছিঁড়ে পড়েছিল বিদ্যুতের তার। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। মৃতের নাম খুশি বাউড়ি (৮)। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরকে বারবার জানালেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় অকালে চলে যেতে হল ওই নাবালিকাকে। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, ওই তার ছিঁড়ে থাকার বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও খবর ছিল না। এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ও গ্রামবাসীদের সচেতন করতে প্রচার চালাচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ বাউড়ি, প্রদীপ বাউড়িরা অভিযোগ করে বলেন, ঝড়ে তিনদিন ধরে বিদ্যুতের ওই তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে জমিতে। বিদ্যুৎ দফতরের গলসির স্টেশন ম্যানেজারকে জানানোও হয়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং ওই লাইনে বিদ্যুৎ চালু করে দেওয়া হয়েছিল। তার ফলেই এদিন এই দুর্ঘটনায় বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। তারাই জানাই, কিছুদিন আগে খুশির বাবা মারা গিয়েছে। বাড়িতে মা ও দিদি রয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মী এলে স্থানীয়রা তাঁকে আটকে রাখেন। পরে গলসি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। প্রতিবেশী অপর্ণা বাউড়ি বলেন,’ পাড়ার বন্ধু বিন্দিয়া বর্মার সঙ্গে দোকানে যাচ্ছিল খুশি। পথে একটি জমিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। তাতে কোনওভাবে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় খুশী।’ আমিনা খাতুন নামে আর এক গ্রামবাসী বলেন, ‘বিন্দিয়া ছুটে এসে প্রথমে তাকে জানায়। এরপর এলাকার লোকেরা গিয়ে লাঠি দিয়ে তার সরিয়ে খুশিকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে ঝলসে নিস্তেজ হয়ে যায় নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় খুশির।’ বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার রাজু মন্ডল দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তবে স্থানীয়রা যে অভিযোগ তুলেছেন তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই তার ছিঁড়ে পড়েছে বলে আমাদের কাছে কোনও খবর ছিল না। খবর পেলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। সাম্প্রতিক ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক জায়গায় তার ছিঁড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। খবর পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গলসির এই এলাকার খবর না পাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতায় প্রচার চালানো হচ্ছে ধারাবাহিকভাবেই।’