শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ নিয়ে বড়ো ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যে আরও ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হচ্ছে,” ভার্চুয়াল ভাষণে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মঞ্চের অনুষ্ঠানে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।” শিক্ষাক্ষেত্রে গেরুয়াকরণ নিয়েও কথা বললেন তিনি।

    প্রতি বছর ৫০০ জনকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের উন্নয়নের কাজে নেওয়া হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের ফিল্ডে পাঠানো হবে। তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। যা চাকরি জীবনে কাজে লাগবে। এই  প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক করেছি, প্রতি বছর CMO তে আমি ৫০০ জন করে ছাত্রছাত্রীকে ইন্টার্ন নেব। ডেভেলপমেন্টের কাজের জন্য তাদের ফিল্ডে পাঠানো হবে। তারপর তাদের কাজের অভিজ্ঞতার জন্য একটা সার্টিফিকেটও দেব। যাতে পরবর্তী চাকরিজীবনে তাদের সুবিধা হয়।’

    বিকাশ ভবনে শিক্ষকদের ধুন্ধুমার নিয়ে সরাসরি মুখ না খুলেও মমতা পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন দেখান কী ভাবে গত দশ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সাড়ে ছয় হাজার  অধ্যাপক নিয়োগ হয়েছে। তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আমলে বাংলায় ১.৩ লাখ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৩০,০০০ শিক্ষিক নিয়োগ করা হচ্ছে।’

    এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষ সরকার অনেক কিছু করেছে। টিউশনি করে সংসার চালাতাম। কিছুই ছিল না তখন। নিজে বেদনা পাওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ গুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।’

    মুখ্যমন্ত্রী এদিন ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে বলেন, “সাড়ে নয় লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দিচ্ছি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছি। যাতে আপনারা তৈরি হতে পারেন। আমাদের সময়ে এত সুযোগ ছিল না। কাউকে অর্থাভাবে আটকে থাকতে হবে না।” ছাত্রদের উদ্দেশ্যের মমতার বার্তা, “চাকরি নিয়ে চিন্তা করবেন না। তবে শুধু সরকারি চাকরির কথা ভাববেন না। আমি চাকরির ব্যবস্থা তৈরি করে দিচ্ছি।”

    বিজেপি কন্ঠরোধ করছে শিক্ষক, আমলা ও সোশ্যাল মিডিয়ার, এই কথা বলেই মমতার আহ্বান তৃণমূল ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় স্তরে ছাত্রপরিষদের গুরুত্ব আরও বাড়াতে।

    একই সঙ্গে ত্রিপুরায় শিক্ষকদের ছাঁটাই, আর বাংলায় শিক্ষকদের জন্য চাটাই, বলে বিজেপিকে তোপ মমতার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ত্রিপুরায় শিক্ষকদের ছাঁটাই, আর বাংলায় শিক্ষকদের জন্য চাটাই। সরকারের কর্মীরা ঠিকভাবে বেতন পান না। অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ – কোথাও না।