বিয়ের পিড়িতে মাতাল পাত্র, জামা-প‍্যান্ট খুলে ছাড়ল পাত্রী

বরযাত্রী নিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে রাজি হননি কনে, বিহার রাজ্যের ছপরা জেলার ডুমরি ছপিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।উল্টো বরের জামা-প্যান্ট খুলে নিয়ে তাকে ফেরত পাঠিয়েছেন কনে ও তার বাড়ির লোকজন। বরের গাড়িতে রাখা বিয়ের দানের সমস্ত গয়না ও জিনিসপত্র নিয়ে নেয়া হয়েছে।

    স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, শনিবার রাতে ছপরার জেলারমগাইডিহা গ্রাম থেকে ডুমরি ছপিয়া গ্রামে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন শিবপূজন সাহ’র ছেলে বাবলু কুমার।
    বিয়ে করতে যাওয়ার আনন্দে বেশ খানিকটা মদ গিলে নিয়েছিলেন বর। কিন্তু মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। ফলে বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছেই মাতলামি শুরু করেন বাবলু কুমার। তিনি উপস্থিত কনে ও অন্য নারীদের উদ্দেশে আপত্তিকর শব্দ উচ্চারণ করেন। বিয়ের পিঁড়িতে ঠিকমতো বসতেও পারছিলেন না মাতাল বাবলু। এ সব দেখে বেঁকে বসেন কনে রিঙ্কি কুমারী। বিয়ের মণ্ডপ থেকে উঠে সোজা ঘরে চলে যান তিনি।
    তখন সবাই পাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তখন পাত্রী রিঙ্কির পাশে এসে দাঁড়ান তার মা। এমন পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন।
    এ নিয়ে জোর খাটাতে যায় পাত্রপক্ষ। তখন গ্রামের লোকজন তাদের আটক করে ঘরে বন্ধ করে রাখে। তখন পাত্রপক্ষের অনেকেই মদের নেশায় চুর হয়ে ছিলেন। তাই আটক অবস্থায় পুলিশকে ফোন করার সাহস করেননি তারা।
    সকালে রিঙ্কির বাড়ির লোকজন বরযাত্রীদের ছেড়ে দেন। তবে রিঙ্কির মায়ের নির্দেশে বর বাবলু কুমারের জামা-প্যান্ট খুলে নেওয়া হয়।
    এভবে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় মারাত্মক মানসিক চাপে আছেন বরের পরিবারের লোকজন। তাই এ নিয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চাননি তারা।
    তবে ওই এলাকার লোকজন রিঙ্কির প্রশংসা করছেন। যেভাবে মাতাল পাত্রের বিরুদ্ধে রিঙ্কি বিদ্রোহ করেছে, তা বিহারের মতো রাজ্যে সাধারণতঃ দেখা যায় না।এ নিয়ে রিঙ্কির পরিবার অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
    এদিকে, এ ঘটনায় রিঙ্কিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও ভাবছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।