|
---|
সফিকুল আলম, নতুন গতি, মালদা: কালবৈশাখী ঝড় ও মঙ্গলবার ভোরে আধঘন্টার শীলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় পাট ও ধান। পাঁকা ধান মাঠে ঝরে যায় ও পাট গাছের ডোগা ভেঙে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। সাতসকালে মাঠে ক্ষতির পরিমাণ দেখে কেঁদে ফেলেন চাষিরা।এই করোনা মহামারিতে কি খেয়ে বেঁচে থাকবে চাষিরা তা দুশ্চিন্তায় পড়েছে কপালে চিন্তার ভাঁজ।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির দক্ষিণ রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সামিম জানান এবছর ধারদেনা করে ও সুদে ঋণ নিয়ে তিনবিঘা পাট চাষ করেছিলেন। ইতিমধ্যে সার ও নিড়ানীতে যথেষ্ট টাকা খরচ হয়ে গেছে।পাট বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পাট তুলার আগেই সব শেষ। কিভাবে পরিশোধ করবে ঋণ তা চিন্তায় উড়েছে ঘুম।
অপরদিকে ওই গ্রামের এক মহিলা ভাগচাষি সাইনাস বিবি জানান ঋণ করে একবিঘা ধান ও এক বিঘা পাট চাষ করেছিলেন।পাট বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করার কথা। এখন কিভাবে সে ঋণ পরিশোধ করবে ও সারাবছর কিভাবে পরিবার চলবে তা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
এখন শস্য বিমার আশায় তাকিয়ে রয়েছে মালদহের চাষিরা।