|
---|
আজিম সেখ,নতুন গতি : শুধু জেলা নয়, গোটা রাজ্য জুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। অন্যদিকে বীরভূমের মত পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা আরও কম, রবিবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম।
কিন্তু এমত অবস্থায় সাধারণ মানুষেরা গায়ে মোটা শীতবস্ত্র, রাতে মোটা মোটা লেপ কাঁথা মুড়ে আনন্দের শীতঘুম দিচ্ছেন। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন, ওই ছাদহীন মানুষগুলো, যারা দিনের পর দিন রাস্তার ধারে, স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে অথবা কারোর বাড়ীর পাশে একটু ঠাঁই পেয়ে রাত কাটান, এই তীব্র শীতে তাদের কি অবস্থা! তাদের অবস্থা হয়তো বলে বোঝানো সম্ভব হবে না, কারণ সত্যি বলতে এটাই, যার কষ্ট হয় সেই বোঝে কষ্ট কতটা। আবার এটাও সত্য যে, কষ্টটা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে না পারলেও কিছুটা হয়তো উপলব্ধি করা যায়। আর সেই উপলব্ধি থেকেই বীরভূম পুলিশ, দুবরাজপুর থানার পুলিশের সাধু উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেল।
পৌষমেলায় শুক্রবার বীরভূম পুলিশ, বীরভূম সাংবাদিক, বিশ্বভারতীর এনএসএস ভলেন্টিয়ার্স, আইনি সচেতনতা কেন্দ্র ও জেলা ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে মেলায় আগত কুটিরশিল্পীদের হাতে কম্বল ও শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এরপরই শনিবার রাতে তীব্র ঠাণ্ডায় দুবরাজপুর থানার পক্ষ থেকে এরকম রাস্তার ধারে থাকা ভবঘুরে মানুষদের দেওয়া হল কম্বল ও শীতবস্ত্র। এদিন দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, মন্দির, রেলস্টেশন ও রাস্তার ধারে থাকা ওই মানুষগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয় এই শীতবস্ত্র।
পুলিশ যখন চোর, ডাকাত, আসামিদের ধরতে ব্যস্ত, যখন বারবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, লাঠি আর বন্দুকের নলে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো, ঠিক সেসময়ই বীরভূম পুলিশ ও দুবরাজপুর থানার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার আপামর বাসিন্দারা।