|
---|
নিশির কুমার হাজরা, গনপুরঃ দীর্ঘদিন ওই ঐতিহ্যবাহী ধর্মরাজ পূজা প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে হয়ে থাকলেও বাত ব্যাধি তে আক্রান্ত বহু মানুষ আষাঢ় মাসের প্রতি রবিবার ধর্মরাজ থানে পূজা দেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। ব্যথার ওষুধ ও মালিশের তেল বীরভূমের আহমদ পুর ও সাইথিয়া ধর্ম রাজ থানে ভক্তরা গ্রহণ করেন। কিন্তু গনপুর ধর্মরাজ থানে কোন ও ওষুধ ও তেল মালিশের প্রয়োজন হয় না। শুধু পূজা দিয়ে ভক্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মরাজ ঠাকুর কে মানত করলেই রোগ সেরে যায়। সেই রূপ এক ভক্ত বিদ্যুৎ কুমার মন্ডল আজ এই মানতি পূজার আয়োজন করে এবং আগত কমপক্ষে দুই হাজার ভক্তদের প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ফলে গনপুর এলাকার একাধিক গ্রামের 2000 ভক্তদের সমাগম হয় এবং তাদের ফল ও খিচুড়ি প্রসাদ পেট ভরে ভোজন করানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে পানীয় জলের ব্যবস্থা হিসেবে গণপুর পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা মন্ডল একটি জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
এই মানতি পুজোর উদ্যোক্তা বিদ্যুৎ মন্ডল ও প্রাথমিক শিক্ষক শিশির অধিকারী জানান, ঐতিহ্যবাহী ধর্মরাজ থানে এই প্রথম খিচুড়ি প্রসাদ এর ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেল। আগামী দিনগুলিতে প্রত্যেক বছর এই আষাঢ় মাসে খিচুড়ি প্রসাদ এর ব্যবস্থা করা হবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ফল ও খিচুড়ি প্রসাদ চিত্র পাওয়া গেছে। এবং মানুষ এই স্থানে পূজা করে যে ফল পান অর্থাৎব্যাধি নির্মূল হয় তার প্রমাণ মিলল।