বীরভূম এখন বোমের স্তূপ, গড়ে উঠতে চলেছে বারুদের কারখানা।

নিশির কুমার হাজরা, বীরভূম : এখন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে বীরভূম। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত বীরভূম। ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু করে কাটমানি নিয়ে এখনও উত্তপ্ত বীরভূমে সকল গ্রাম ও শহর। গতকয়েক দিন ধরেই বীরভূমে এতো পরিমাণে বোমা ও বিস্ফোরক সামগ্রীর মজুতের ছবি প্রকাশ্যে আসছে, যা সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে ভাবিয়ে তুলেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে একটাই বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসন কি এদম নিস্ক্রীয়?

    সুতলি বোমা ও সকেট বোমার পর এবার ডিনামাইট বোমা তৈরির বিপুল পরিমান বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার করলো রামপুরহাট থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে এগারো হাজার ন শো কেজি আমোনিয়া নাইট্রেট ও ৮০ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করলো রামপুরহাট থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাট থানার বড়জোল গ্রাম সংলগ্ন একটি কালভার্টের নিচে থেকে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

    গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পুলিস যায় ঘটনাস্থলে। তবে এই ঘটনায় কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এতো পরিমান বিষ্ফোরক এখানে কে বা কারা রেখে গেল, সে নিয়েই তদন্তে রামপুরহাট থানার পুলিশ। এছাড়াও এর সাথে জেএমবি যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে এদিন বীরভূমের পাড়ুই ও নানুরে ফের বোমা উদ্ধার । সবমিলিয়ে এখন বলাযেতেই পারে বীরভূম এখন বোমের কারখানা বা স্তূপ। এইসবের পিছনেকি রাজনৈতিক দলের কোনো হাত রয়েছে?

    প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার মোহাম্মদ বাজারের পাচামি পাথর শিল্প বলযে পাথর খাদানে পাথর ফাটানোর জন্য অনুমতি প্রাপ্ত পাথর খাদান গুলি এই ধরনের জিলোটিন স্ট্রীক ব্যাবহার করে। যে সমস্ত অনুমতিহীন অবৈধ ব্যবসার কারবারে লিপ্ত তারা শাসক দলের ছত্রে থেকে এধরনের কাজ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্যদিকে ওই জিলোটিন তৈরির কারখানার ঘর নির্মাণ হয়েছে মহ: বাজারের মৌবেলিযা মৌজায় বলে সুত্রের খবর।