বিরল গ্রুপের রক্তদাতা সহ রোগীর পাশে দাড়ালো বীরভূম ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশন

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে একপ্রকার সারা বছর ধরে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলোতে রক্তের ঘাটতি পূরণ করা তথা থ্যালাসেমিয়া, গর্ভবতী প্রসূতি মায়েদের সর্বপরি মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে মূলত শিবির গুলি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিরল গ্রুপের তথা বোম্বে গ্রুপের রক্তের সন্ধান বা রক্তদাতা সংগ্রহ করা খুবই কঠিন। তবে সে বিরল কাজটি আবার করে রোগীর পাশে দাড়ালো বীরভূম ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশন নামক রক্ত আন্দোলনের কর্মীরা।

    এবার অবশ্য ঐ অতিবিরল গ্রুপের রোগী বীরভূম জেলার বাসিন্দা। জানা যায়

    মায়ের এই গ্রুপের রক্তের জোগাড় করতে দারুন দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বোলপুরের নূরপুরের বাসিন্দা মনোজিৎ বিশ্বাস l এই অবস্থায় যোগাযোগ করেন রক্তদান নিয়ে কাজ করা বি ভি বি ডি এ র সম্পাদক নুরুল হকের সাথে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও যিনি এই গ্রুপের রক্তের যোগান দিয়ে রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।রোগীর পরিবারের কাছে

    খবর পেয়ে নুরুলবাবু যোগাযোগ করেন জেলার একমাত্র বোম্বে গ্রুপের রক্তদাতার কাকার সাথে। কথা মোতাবেক সন্ধ্যার মধ্যেই কাকার সাথে বোলপুরে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করে গেলেন ঐ রক্তদাতা lবোলপুর ব্লাড সেন্টারের টেকনিশিয়ান ধরম দাস এই বিরল গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করতে পেরে আপ্লুত।

    বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে, বছর তিনেক আগে ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে বোম্বে ও গ্রুপের রক্তের বাহকের সন্ধান পাওয়া যায়। বোম্বে ও গ্রুপের রক্ত খুবই দুষ্প্রাপ্য। বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে বোম্বে ও গ্রুপের রক্ত রয়েছে ছয়জনের মধ্যে। যার মধ্যে বীরভূম জেলায় রয়েছে দুজন। উক্ত দুজনের পরিচয় স্বাস্থ্য দফতর থেকে গোপন রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।