|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : মনসামঙ্গল কাব্যে বেহুলা লখিন্দরের বাসর ঘর নির্মাণ করা বরাত পেয়েছিলেন বিশ্বকর্মা তার পর থেকে বিশ্বকর্মা দেবতা রূপে পূজিত হন। দেবতার আসনে পূজিত হওয়ায় বিশ্বকর্মা যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পূজা।
আজ বিশ্বকর্মা পূজা বা বিশ্বকর্মা জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। হিন্দুধর্মীয় উৎসব হিন্দু স্থাপত্যের দেবতা বিশ্বকর্মা। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান কারখানার মালিক সহ কর্মচারি এবং যে সমস্ত ব্যক্তিরা নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত এই পূজা তাদের কাছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে পালন করেন । এই দেবতার সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিশ্বকর্মা পূজা। স্বয়ম্ভু এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী পবিত্র দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা। বিশ্বকর্মার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তিনি এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক। শিল্পবিদ্যায় বিশ্বকর্মার রয়েছে একচ্ছত্র অধিকার। তিনি নিজেই চতুঃষষ্টিকলা, স্থাপত্যবেদ এবং উপবেদ এর প্রকাশক। কথিত আছে, পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথমূর্তিও তিনিই নির্মাণ করেন। তাঁকে স্বর্গীয় ছুতারও বলা হয়।