|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রথম জীবনে চা বিক্রেতা। চা বিক্রি করেই তৈরি করেছেন নিজের একটি রেস্টুরেন্ট। মাসিক ৬০০০ টাকা আয় থেকে ৫০ হাজারের গণ্ডি পেরনো। একা নিজের দোকান থেকে ১৮ জন কর্মচারী নিয়ে নতুন রেস্টুরেন্ট। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য জীবনের লড়াইয়ে অনন্য উদাহরণ চন্দননগরের বাসিন্দা বিশ্বরূপ চক্রবর্তী।
গ্রাজুয়েশন পাশ করার পর একটি বেসরকারী চাকরীতে যোগ দিয়েছিলেন করোনা কেড়ে নেয় সে চাকরিও। তারপর থেকে চায়ের দোকান খুলে কোনরকমে দিন কাটাচ্ছিলেন চন্দননগরের বিশ্বরূপ চক্রবর্তী। আর মনে মনে জেদ ধরে রেখেছিলেন নিজের রেস্টুরেন্ট বানানোর। সেই জেদ কীভাবে সফল করতে হয় তার উদাহরণ স্বরূপ চন্দননগরের ইন্টারসিটি ধাবা। নিজের বাড়ি, গাড়ি, মায়ের গয়না সবকিছু বন্ধক দিয়ে তৈরি করেছেন নিজের রেস্টুরেন্ট। চন্দননগরের দিল্লি রোড সংলগ্ন রাস্তার পাশে অবস্থিত বিশ্বরূপের রেস্তোরাঁ ইন্টারসিটি ধাবা। একটি ট্রেন এর আদলে তৈরি করেছেন তার রেস্তোরাঁ।বিশ্বরূপ বলেন, তিনি কখনও ভাবেন নি তিনি চায়ের দোকানে চালাবেন এমনকি তার রেস্টুরেন্ট হবে। পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কেরানীর কাজ করতেন বিশ্বরূপ। লকডাউনে সেই কাজটিও চলে যায় তার থেকে। তারপর থেকেই শুরু চায়ের দোকান চালানো। চায়ের দোকানে চা বিক্রি করতে করতে তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন তিনি একটা রেস্তোরাঁ বানাবেন। হাজারো প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে তৈরি হয় তার রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁর মালিক হবার পরেও কিন্তু তিনি একজন কর্মচারীর মতই কাজ করে যান প্রতিনিয়ত। এখনও পর্যন্ত নিজের রেস্তোরাঁর চা কাউন্টারে নিজেই চা বিক্রি করেন বিশ্বরূপ। বছর পঁয়ত্রিশের এই যুবকের রেস্তোরাঁর প্রচার ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মুখে মুখে। প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে জেনারেশন ওয়াই এর জনপ্রিয় ব্যান্ড ফাকিরার ব্যান্ড মেম্বার সবাই একবার হলেও এসে খেয়ে গেছেন বিশ্বরূপের ইন্টারসিটি ধাবা থেকে। মালিক হবার পরেও একজন কর্মচারীর মতন তিনি কাজ করেন নিজের রেস্তোরাঁয়। এবং নিজের কর্মচারীদের অনুপ্রেরণা জোগানো দেন নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য।