|
---|
বিশেষ প্রতিবেদন : উদার আকাশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে কাজী নজরুল ইসলাম’ ও ‘উদার আকাশ নির্বাচিত প্রবন্ধ-১’ গ্রন্থ দুটির সম্পাদনা করেন যথাক্রমে ফারুক আহমেদ ও মৃদুলা বিশ্বাস। গবেষণাগ্রন্থ দুটি উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার রবীন্দ্র সদনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল ও অধ্যাপক সোমশঙ্কর রায়। ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ও ‘উদার আকাশ’ প্রকাশনের প্রকাশক ফারুক আহমেদ এদিন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ও স্বনামধন্য নাট্যকার অধ্যাপক ব্রাত্য বসুর হাতে গবেষণা গ্রন্থ তুলে দেন। এদিন রবীন্দ্র সদনে উদ্বোধনের পর উদার আকাশ প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ ‘উদার আকাশ নির্বাচিত প্রবন্ধ-১,’ গ্রন্থটি তুলে দিলেন ভারতের প্রথম সারির সমাজকর্মী মেধা পাটেকর-এর হাতে।
গবেষণালব্ধ সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ গ্রন্থদ্বয়ে প্রকাশকের কথা ও সম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখেছেন প্রকাশক-সম্পাদক ফারুক আহমেদ। তিনি তুলে ধরেছেন, “বাংলা সাহিত্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের বাণীবাহক কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.) ছিলেন বিদ্রোহী চেতনার ধারক বাহক এবং রূপকার। তাঁর সংগ্রামশীল বর্ণাঢ্য জীবনে রচিত কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য ও সংগীতশাস্ত্রসহ সৃষ্টিশীল মৌলিক প্রতিভার রূপস্বরূপ সাধনার অনুশীলন এবং চর্চা আবহমান বাংলার বাঙালি সমাজে আজও বিরাজমান। এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ও অনুসন্ধানী গবেষণার ধারা শতাব্দী পেরিয়ে এখনো সমানভাবে গুরুত্ব বহন করছে। যা সাহিত্যক্ষেত্রে এমন সাফল্য, স্বাতন্ত্র্য, সাযুজ্য পাঠক ও সমালোচকের নিকট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত পরাধীনতা, শোষণ-বঞ্চনা, সামাজিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামী এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিবাদী প্রত্যয় ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। অধুনা কাজী নজরুল ইসলাম প্রতিভার স্বরূপ সন্ধান, কাজী নজরুল ইসলামকে অনুধাবন এবং তাঁর সাহিত্যের নবমূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ‘বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে কাজী নজরুল ইসলাম’ গ্রন্থটির প্রকাশ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যা নজরুল চর্চা ও অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এক মূল্যবান ও অপরিহার্য সংযোজনা।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম যুগ প্রবর্তক ও মৌলিক প্রতিভার অধিকারী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য নিয়ে বিশ্লেষণী আলোচনার প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড়ো প্রতিভার অন্যতম বিস্ময় হলো বারংবার তাঁর মূল্যায়ন চিন্তার গুরুত্ব পুনর্বিচার করা। নজরুলের সাহিত্য ও শিল্পকর্ম নিয়ে পাঠকের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির পিপাসা অপূরণীয়। তাই নতুন করে তাঁকে জানতে চাওয়ার বাসনা অমূলক নয়। এমন দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান সংকলনটির পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। তাঁর সাহিত্যকীর্তি ও মাঙ্গলিক চিন্তাধারার বিদ্রোহী ভাবাবেদন সার্বিক পরিচয়ে গ্রন্থটির ফ্রেমে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা অন্বিষ্ট হয়েছে। চৈতন্যর উপলব্ধি থেকেই প্রাবন্ধিকগণ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মূল্যায়নের নিজস্ব প্রয়াস গ্রহণ করেছেন। তাই আঙ্গিকগত সমীক্ষায় কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ সংকলনটির অভিনব ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচ্য।
বাঙালির জাগরণ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর কবিতা ও গান ছিল প্রেরণার প্রধান উৎস। তাঁর সৃষ্টিকর্মে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালিসুলভ ভক্তির প্রাবল্য, আবেগের আতিশয্য ও প্রাণপ্রাচুর্যে বিদ্যমান থাকতো বিচিত্র মনোনিবেশ। যেখানে ব্যক্তিগত ভালোলাগা বা মন্দলাগার মতো কোনো বিষয় মুখ্য হিসেবে কখনোই দেখা দিতো না। বাঙালির জাতীয় জীবনে মুক্তির অবগাহনই ছিল তাঁর সৃষ্টিশীল প্রেরণার অন্যতম উপাদান। ধনবাদী যুগের শোষণযন্ত্রের কবলে পড়ে মানুষ যে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারিয়ে ফেলে, কবি কাজী নজরুল ইসলাম তা তীব্রভাবে উপলব্ধি করে বিপ্লবের প্রেরণায় বাঙালি জাতিকে বরাবরই উদ্বুদ্ধ করেছেন। প্রতিবাদ ও প্রতিকারের আশায় লেখনির মাধ্যমে তাঁর এমন সংগ্রাম ছিল ক্লান্তিহীন।
‘বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে কাজী নজরুল ইসলাম’ গ্রন্থে ২৮ জন প্রাবন্ধিকের ৩০টি প্রবন্ধে নজরুল প্রতিভার যথাসাধ্য বিশ্লেষণ তুলে ধরার একটি প্রয়াস অন্বিষ্ট হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে সুনিবিড় মহিমার প্রত্যয়ে বিদ্রোহের বার্তা ও সাম্যবাদের রূপান্তর সূচিত হয়েছে। যেখানে তারুণ্যের উদ্দীপনায় গৌরবময় চিন্তাচেতনা ভিন্নমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। লেখকগণ আন্তরিক তৃপ্তি ও কৃতজ্ঞতা চিত্তে তাঁদের যুক্তি নির্ভর স্বাধীন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে এত সংখ্যক মনীষীর রচনা সংকলিত করতে পেরে সম্পাদক ফারুক আহমেদ সানন্দে শ্লাঘাবোধ করতে পারেন। লেখকগণ কবি নজরুলকে নিয়ে যেসব প্রসংগের অবতারণা করেছেন, তা পূর্বের যেকোনো আলোচনা থেকে ভিন্নস্বাদে আস্বাদিত। তাঁরা আবেগের পরিবর্তে যুক্তির আলোকে ও রসের বিচারে কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যের বিশ্লেষণে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাই তাঁদের এমন আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করছেন সম্পাদক ফারুক আহমেদ। পাঠক হৃদয়ে যদি নতুন করে জীবনপ্রীতির দর্শনে হৃদয় ও বুদ্ধিমুক্তির তাগিদে কাজী নজরুল ইসলামকে জনমানসে আবিষ্কারের আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় তবেই প্রয়াস সার্থক।
‘বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে কাজী নজরুল’ (২০২২) গ্রন্থটি গবেষণালব্ধ। যা বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের আলোকে রচিত। যুগস্রষ্টা কাজী নজরুল ইসলাম সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নবজাগরণের অন্যতম রূপকার হিসেবে পরিচিত। আর এই রূপকের অনন্য সাধারণ ভাবনা স্থান করে নিয়েছে গ্রন্থের ৩০টি প্রবন্ধের মাধ্যমে। মূলত শক্তি ও মুক্তির চেতনায় মানব প্রত্যয় নিয়ে যুগযন্ত্রণায় তিনি যে দ্রোহের ভূমিকা পালন করেন তারই রূপান্তর গ্রন্থটির নির্যাস। জাগতিক অন্যায়, অবিচার, শোষণ, দুঃশাসন ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে ছিল তাঁর বিদ্রোহ। পরাধীন ভারতবর্ষে যখন মানবতা শৃঙ্খলিত, সমাজকাঠামোয় তমসাচ্ছন্ন, তখন তিনি স্বদেশ ও স্বজাতির মুক্তির কামনায় হয়ে ওঠেন অসনিসংকেত। ব্যক্তি নিরপেক্ষ, মুক্তিকামী ও স্বাধীনচেতা মানুষটি দেশ ও জাতিকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে শক্তি ও প্রত্যয় নিয়ে গেয়ে উঠেন জাগরণী গান। যার রূপান্তর বিভিন্ন আঙ্গিকে গ্রন্থটিতে উল্লম্ফিত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনা শিল্পে ‘উদার আকাশ’ প্রকাশন আজ সর্বজন গ্রহণীয় এক পরিচিত নাম। পত্রিকা, জার্নাল, কাব্যগ্রন্থ, ধর্মদর্শন, ইতিহাস, লোকসাহিত্য, সংগীত, নাটক, ছোটোগল্প, সমাজভাবনা ও শিল্পসাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থসহ বৈচিত্র্যময় বিষয়ে সহজলভ্য উপায়ে গ্রন্থ প্রকাশের দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশক ‘উদার আকাশ : নির্বাচিত প্রবন্ধ-১’ গ্রন্থটি প্রকাশের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পেরেছেন। বিভিন্ন বিষয় অবলম্বনে গবেষণালব্ধ ও বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধের নির্বাচিত সংকলন এই গ্রন্থটি। গ্রন্থে ভারত-বাংলাদেশের ৩০জন প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ, খ্যাতিমান এবং প্রখ্যাত প্রাবন্ধিকের জ্ঞানগর্ভ বিশ্লেষণ গ্রন্থের বিষয়বস্তুতে মাত্রিকতা এনে দিয়েছে। সমকালীন জীবনের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমিতে মূল্যায়নের প্রশ্নে বহুমাত্রিক ও বিবিধ প্রসঙ্গ পুঙ্খানুপুঙ্খতার এক অনবদ্য আবেদনে বিধৃত হয়েছে। পাঠকমাত্রই গ্রন্থের প্রবন্ধ নির্বাচন ও উপস্থাপনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে এর ভাব-সৌন্দর্যের অমিয়সুধা উপভোগ করবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা যায়।
সংকলনে লেখকগণের প্রবন্ধসমূহ অন্তর্ভুক্তির অনুমতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট লেখক বা তাঁদের স্বত্বাধিকারীকে ধন্যবাদ। ‘উদার আকাশ’ প্রকাশন থেকে বরাবরই জাগরণ ও দেশপ্রেমের অনুষঙ্গ ও উদ্দীপনামূলক ভাবাবেদন সম্পর্কিত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা বাঙালিদের জীবনাচার ও তাঁদের অতীত, বর্তমান এবং ভূত-ভবিষৎ সম্পর্কিত কর্মপন্থা বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি অধীক যত্নবান। এমন অনুপ্রেরণার এক জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত গ্রন্থদুটির প্রকাশ। তাই গ্রন্থদুটিতে স্থান পাওয়া ভারত-বাংলাদেশের অসংখ্য মহৎ প্রতিভার প্রতি অন্তরের অন্তস্থল থেকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
সমকালীন বিশ্বে মানুষের মত-অভিমতের অভিব্যক্তি বলে ও লিখে কখনো শেষ করা সম্ভব নয়। তাই সময় গড়িয়ে যায় আর মানুষের ভাবনায় স্থান করে নেয় নতুন নতুন অভিব্যক্তি ও চিন্তাচেতনা। হাজারো মানুষের হাজারো প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশাকে স্বল্প পরিসরে একটি ফ্রেমে বাঁধার প্রয়াস অন্বিষ্ট হয়েছে গবেষণাধর্মী এই গ্রন্থের বিবর্তন-বিবরণে। গ্রন্থে স্থান পাওয়া প্রাবন্ধিকগণের বিশ্লেষণে এবং আঙ্গিক ও চারিত্র্যবৈশিষ্ট্যে সম্পূর্ণ নতুন বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে কথাটি নিঃসংকোচে বলা যায়। এর পরেও বলতে হয় গবেষণা ও আবিষ্কারের ক্ষেত্রে শেষকথা বলে কিছু নেই। তাই অনেক কিছু এখনো অজানা ও অনুদঘাটিত রয়ে গেল, যেন কিছুই বলা হলো না। পরবর্তী আবারও এজাতীয় অন্য কোনো গ্রন্থ প্রণয়নের মধ্যদিয়ে একই ফ্রেমে নতুন নতুন বিষয় তুলে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উদার আকাশ প্রকাশক ফারুক আহমেদ। গ্রন্থে যেসব আলোচনা বিম্বিত হয়েছে তা নানা দিক থেকে নানা বর্ণের আলোকছটায় বিকিরণ ছড়িয়ে উল্লম্ফিত করেছে। আলোকছটা সংগত কারণে উৎসভেদে সরল, তির্যক, মৃদু, তীব্র, নম্র, প্রখর বা খরস্রতা রূপ লাভ করেছে। সৃষ্টির বৈশিষ্ট্যে মধ্যবিত্ত বাঙালিসুলভ ভক্তির প্রাবল্য, আবেগের আতিশয্য, বিশেষণের ইতিবৃত্ত, কখনো ইতিবাচক, কখনো নেতিবাচক, আবার কখনো বা অসহিষ্ণু বিদ্রুপ যেন প্রাণপ্রাচুর্যে এক জীবনদর্শনকে উদ্ভাসিত করেছে। বস্তুত চিত্তই প্রতিভার মধ্যবিন্দুতে উপনীত হয়ে ধনাত্মক মূল্যায়নের প্রয়াস পায়। তারই নির্যাস গ্রন্থের বিরল ও প্রার্থিত প্রয়াস। এমন প্রয়াসকে সামনে রেখে সংকলনের সম্পাদনা পরিকল্পনা মনেপ্রাণে গ্রহণ করি। বর্তমান গ্রন্থটি তারই ফল। আশা করি সুধীমহলে ‘উদার আকাশ : নির্বাচিত প্রবন্ধ-১’ গ্রন্থটি পাঠক মহলে সাদরে স্বীকৃতি পাবে। উদার আকাশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত প্রবন্ধ সংকলন গ্রন্থটি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন গবেষক মৃদুলা বিশ্বাস। তাঁকে ধন্যবাদ।
‘উদার আকাশ’ পরিবার পিছিয়ে থাকা বাঙালিদের নিয়ে বরাবরই কাজ করে আসছেন। এমন মানুষদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। তাই অকারণ হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও জীবনদর্শনকে তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রকাশক শেকড়সন্ধানী অনুসন্ধান গ্রন্থ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে অব্যাহত রেখেছেন। আমরা জানি অনিবার্যতার মধ্যে অবিমিশ্রভাবে লুকিয়ে থাকে মানবিকতা ও সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন। এই বন্ধনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রজন্মকে শিক্ষা ও কর্মকয় জীবনে মনোনিবেশ করানোর পথনির্দেশনা সৃষ্টির তাগিদে গ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ। গ্রন্থের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া ও বিলুপ্তপ্রায় অনেক তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে এমন কথা বলা যায়। সেইসাথে প্রকাশক ‘উদার আকাশ’ প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের গুণগতমান ধরে রাখা ও এর শ্রীবৃদ্ধি সাধনে নিরলসভাবে কাজ করছেন।”