|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, ২ অক্টোবর : এই মহোৎসবকে অভিনব ভাবে লোক শিক্ষার ভিন্ন আঙ্গিকে ২০২২ দুর্গাপূজাকে উপস্থাপিত করায়, পূর্ব বর্ধমান জেলার সেরা পুরস্কারটি ছিনিয়ে নিল বড়শুল জাগরণী। ১ অক্টোবর পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসক দপ্তরে, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান এর ফলাফল ঘোষণা করে পূজা উদ্যোক্তাদের সম্মাননা তুলে দেন। বর্ধমানের উপকণ্ঠে বর্ধমান ২ নং ব্লকের বড়শুল জাগরণী কোনরকম প্লাস্টিক ও থার্মোকল জাতীয় কেমিক্যাল বর্জন করে পরিবেশ বান্ধব ভাবে তাদের পূজা মন্ডপ ও প্রতিমা গড়ে তুলেছেন। বড়শুল জাগরণীর দুর্গাপূজার এবারের থিম হল, পুরুলিয়ার ভূমিকন্যা মৌসুমী চৌধুরী বিশ্বের মধ্যে প্রথম মহিলা ছৌ নৃত্যশিল্পী বিশ্বের দরবারে ছৌ নাচকে উপস্থাপিত করায় বাংলার এই ছৌ নাচ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। একজন বঙ্গ ললনা পুরুষদের ছৌ নাচকে এইভাবে স্বীকৃতি আদায় করায় একজন মহিলারও যে অসীম শক্তি তাকে মর্যাদা দিয়েছে বড়শুল জাগরণী। ছৌ নাচের বিভিন্ন আঙ্গিক কে সুনিপুণভাবে এক মায়াবী পরিবেশে বড়শুল জাগরণী তুলে ধরেছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বড়শুল জাগরনীর সেরা পুজো নাম ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে পুজো প্রাঙ্গণ জনজোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। জাগরনীর দপ্তর সম্পাদক কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মৌসুমী চৌধুরী ও তার সহযোগী ছৌ নৃত্যশিল্পীরা যে অসাধ্য কাজকে সাধন করেছেন তা মহিলাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছেন। পরপর সাতবার বড়শুল জাগরণী পূর্ব বর্ধমান জেলার সেরা খেতাব জিতে নিয়েছে তা অত্যন্ত গর্বের। জাগরণীর খেতাবের ঐতিহ্যকে বহন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সম্পাদক পিন্টু পাল, তারক ঘোষ, তপন কুমার দে, ড. কবিতা মুখার্জি, পুলক ঘোষাল, রাজা সাধু, সঞ্জীব কর, কৌশিক বিশ্বাস, রিক্তা বিশ্বাস ছাড়াও শেখ তাজিম আলী, কার্তিক বসু মল্লিক, গৌরাঙ্গ লাল বসু অভিজিৎ রাউত, ডা. মৃণাল কান্তি সেন, ডা. অরিন্দম দাশগুপ্ত প্রমুখ।উল্লেখ্য, বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা মন্ডপ, সেরা সমাজ সচেতনতায় প্রত্যেকটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান যে সমস্ত পূজা মণ্ডপ গুলি পেয়েছে : তারা হল সেরা পুজো বড়শুল জাগরণী প্রথম স্থান দখল করেছে। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে বর্ধমান শহরের তেলিপুকুর স্মৃতি সংঘ। তৃতীয় হয়েছে কাটোয়ার ননগর সবুজ সংঘ। সেরা প্রতিময় প্রথম মেমারির বাগিলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। দ্বিতীয় বর্ধমান উত্তরের আলমগঞ্জ বারোয়ারি, তৃতীয় স্থান পেয়েছে কালনার পুরাতন বাস স্ট্যান্ড বারোয়ারি ব্যবসায়ী সমিতি। সেরা মন্ডপে প্রথম হয়েছে কালনার ধাত্রীগ্রাম সম্প্রীতি। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে মেমারি বামুনপাড়া মোর বাজার কমিটি। তৃতীয় স্থান পেয়েছে বর্ধমান শহরের লালটু স্মৃতি সংঘ। সমাজ সচেতনতায় প্রথম হয়েছে বর্ধমান শহরের ২নং শাঁখারি পুকুর সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। দ্বিতীয় হয়েছে কাটোয়ার নবোদয় সংঘ। তৃতীয় স্থান পেয়েছে বর্ধমান শহরের বাজে প্রতাপপুর ট্রাফিক কলোনি দূর্গা পুজো কমিটি।