বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব রবি ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে বৃক্ষরোপণে কর্মাধ্যক্ষ ফারহাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বারাসাত : ২২শে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের তিরোধান দিবসটিকে স্মরণ করে নতুন ‘বৃক্ষরোপণ উৎসব’ প্রচলিত শান্তিনিকেতনে। ১৯২৫ সালের ২৫শে বৈশাখ শান্তিনিকেতন উত্তরায়ণ বাসভবনের উত্তরপূর্ব কোণে নিজে হাতে কবি অশত্থ, আমলকি, অশোক, বেল ও বট—পাঁচটি বৃক্ষ চারারোপণ করে প্রথম বৃক্ষরোপণ উৎসবের আয়োজন করেন। বাইশে শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৩ তম প্রয়াণ দিবস। কবিগুরুর সৃষ্টি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মৃত্যুর মধ্য দিয়েই বিজয়ী প্রাণের জয়বার্তা ঘোষিত হয়। তাই কবির প্রয়াণ দিবসে দৈনন্দিন জীবনধারার সবুজ পতাকাকে জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালিত হয়।কবি নিজের জীবনকালেই বহুবার পালন করেছেন এই বৃক্ষোৎসব। বৃক্ষরোপণ যে একটি উৎসব হতে পারে, তা কবি প্রত্যক্ষ করেছিলেন বিদেশে গিয়ে। ১৯১৬ সালে জাপানের ভ্রমণের সময় ওকাকুরার সমাধিতে তাঁর ছেলের উপস্থিতিতে একটি ছোট্ট ফার গাছ রোপন করেন। এরপর ইটালি ভ্রমণের সময় একটি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বাগানকরা,সংগীত চর্চার উৎসাহ দেখে রবীন্দ্রনাথের নিজের আশ্রমের কথাই মনে পড়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্রনাথের আগমনকে চিরস্মরণীয় রাখতে একটি জলপাই গাছের চারা রোপন করেন। নোবেলজয়ী বাঙালি মহাপুরুষের মৃত্যু দিবসকে স্মরণ করতে অভিনব উদ্যোগ গ্ৰহণ করলো উঃ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ।বুধবার জেলা বনবিভাগের অফিস পাশ্ববর্তী এলাকায় কবিগুরুর নামে বৃক্ষরোপণ করে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব বাঙালির গর্ব রবি ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি বেশকিছু চারাগাছ বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। আমাদের দপ্তর যথাযোগ্য মর্যাদায় রবি ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস পালনে বনকর্মীদের সহযোগিতা অতুলনীয়। সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কর্মাধ্যক্ষ ফারহাদ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পান্নালাল ব্যানার্জি, কাউন্সিলর গোপাল ব্যানার্জী, বনাধিকারী সুদীপা বিশ্বাস প্রমুখ।