|
---|
আজিম শেখ :নতুন গতি:-
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন তিন টি ছাত্রী বিয়ের দিন নিজের বিয়ে ভেঙে পরীক্ষা দিতে গেল নবম শ্রেনীর নাবালিকা ৩ জন ছাত্রী ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে তিন নাবালিকার বিয়ে ঠিক ক করেন পরিবারের লোকেরা। তার আগেই সাহস দেখিয়ে বিবাহ নয় শিক্ষা চাই, এই স্লোগানকে সামনে রেখে তারা সরকারি টোল ফি নাম্বারের ফোন করে নিজের বিয়ে বন্ধ করার উদ্যোগী হয়। কারন কোনমতেই কন্যাশ্রীরা কম বয়সে বিয়ে করতে রাজি নয়। নাবালিকাদের টোল ফি নাম্বারের সুত্র ধরে জেলার চাইল্ড লাইন ও ব্লক প্রশাসন এবং কালিয়াগঞ্জ থানার ইনচার্জ তথা ডিএসপি শ্রীমন্ত বন্ধ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পুলিশ প্রশাসন নাবালিকা তিন ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বোঝান যে কম বয়সের মেয়েদের বিয়ে দিলে কি ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয় তা বোঝানো হয় এবং তার সাথে সাথে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পড়াশুনার জন্য ছাত্রীদের সুবসাথীর সাইকেল থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী ও যুবশ্রী থেকে রুপশ্রী প্রকল্প চালু করেছে। তার সাথে সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার নিজে গিয়ে জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের শিক্ষার আয়ীনায় আনতে এবং বাল্যবিবাহ ও পড়ার শুনার ক্ষেত্রে সরকারি কি কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পায় তা বোঝান। একপ্রকার তারি সুফল আজ কালিয়াগঞ্জের তিন নাবালিকা নিজ উদ্যোগে নিজে বিয়ে বন্ধ করলে। সেই কারনে আজ বিরঙ্গনা তিন কন্যাশ্রীকে থানায় নিয়ে এসে তাদের উৎসাহিত করতে থানা ইনচার্য তথা ডিএসপি শ্রীমন্ত বন্ধ্যোপাধ্যের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানার বিভিন্ন পুলিশ কর্মি ও তিন নাবালিকার অভিভাবকেরা এবং জেলা চাইল্ড লাইনের দুই প্রতিনিধি বিপুল দাস ও প্রসেঞ্জিত দে সহ অন্যানরা।