জাতীয় সংগীত কি জানে না, নিজের এলাকায় বুথের সংখ্যা কত জানে না, এমনই এক নিরক্ষর ব্যক্তিকে প্রার্থী ঘোষনা করলো বিজেপি

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক :  জাতীয় সংগীত কি তিনি তা জানেন না।প্রার্থী হয়েছেন, কিন্তু তার এলাকায় বুথের সংখ্যা কত তেমন কোনো রাজনৈতিক ধারণাও নেই। এছাড়া দলেরই একাংশের অভিযোগ, তিনি নিরক্ষর। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ বিধানসভার আসনে বিজেপির এমন একজন প্রার্থী দেওয়া হল কেন তা নিয়ে এখনও দলের চর্চা অব্যাহত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। এই আসনে এবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন মতিবুর রহমান। আদতে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে ঠিকাদারি করেন তিনি। মাঝেমধ্যে এলাকায় আসলে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় তাকে। লকডাউন এর সময় প্রথম হরিশ্চন্দ্রপুরে তার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। প্রথমে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপরে মাস ছয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন মতিবুর। তারপর বিধানসভা নির্বাচনে সেই মতিবুর টিকিট পেতেই বিজেপির অন্দরে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। পার্টি অফিসে বিক্ষোভ, ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটে। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, টাকার জোরেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। দলের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ভোটে যে দেওয়াল লিখতে হয় তা নাকি তিনি জানেন না এমনকি তিনি প্রার্থী হয়েও তার ভোট কবে তিনি সেটাও জানেন না।

     

    হরিশ্চন্দ্রপুর আসনে ভোট হবে ২৬ শে এপ্রিল, অথচ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করেছেন ২৯ শে এপ্রিল পদ্মফুল চিহ্নে বোতাম টিপে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই ছবিতে উপরদিকে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছবি, আর নিচে হাত জোড় করে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমান। এহেন প্রচারকে ঘিরে দলের একাংশ তো বটেই, বিরোধীরাও প্রার্থীকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। এমন প্রার্থী এলাকায় জয়ী হলে এলাকার উন্নয়নের হাল কি হবে প্রশ্ন তুলেছেন তারা বিরোধী সহ-স্থানীয়রা। এমনকি দলের পুরনো কর্মীদের অভিযোগ, দলকে হাস্যকর তুলেছেন মতিবুর। প্রার্থী প্রসঙ্গে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে জেরবার হচ্ছেন তারা। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমানকে ফোনে ধরা হলে কোন মন্তব্য করতে চাননি।