ভোটের সময় বিরোধীদের উপর হামলা করেছে বিজেপি ত্রিপুরায় অভিযোগ তুলল বিরোধীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা :ভোটের সময় বিরোধীদের উপর হামলা করেছে বিজেপি। ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে রাজ্যের নানা প্রান্তে এমনই অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও। ত্রিপুরায় বিজেপি শাসক দলের ভূমিকায় থাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন আচরণ বলে দাবি বিরোধীরা। যদিও সব দাবিই উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

     

    কখনও বিশালগড়ে বাম কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ। শান্তিরবাজারে সিপিএম (CPM) সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ত্রিপুরায় রাধাকিশোরপুরেও সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে। সেখানে সিপিএম ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি। বক্সনগরে সিপিএম ইলেকশন এজেন্টের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে বৃহস্পতিবার দিনভর উঠল অশান্তির ঝুরি ঝুরি অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় সিপিএমের নেতা-কর্মীদের মারধর, বাড়িতে বোমাবাজি, ভোটারদের বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠল শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। ত্রিপুরার ভোটে অশান্তি, রক্তপাতের এই ঘটনাই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার ৬০টি আসনে ভোট করাতে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোটকেন্দ্র ছাড়া কোথাও সেভাবে তাদের দেখাই মেলেনি বলে অভিযোগ। কোথাও ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও অঞ্চল সম্পাদককে কোপ মারার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়নি বলেই দাবি বিরোধীদের!

     

    রাজনৈতিক তরজা:

    ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং প্রার্থী পবিত্র কর বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য় পুলিশ, নির্বাচন কমিশন হাতের পুতুলের মতো কাজ করেছে।’ ত্রিপুরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী কমিশন অতিসক্রিয় থাকে, আর ত্রিপুরায় বাহিনী অতি নিষ্ক্রিয়, কমিশনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এমনই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। পশ্চিমবঙ্গে ভোট এলেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে সরব হয় বিজেপি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটও, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর আর্জি জানিয়ে, গত ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, ত্রিপুরায় ভোটের দিন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ভূমিকা দেখে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, সেখানে শাসকের আসনে বিজেপি বলেই কি এরকম নিষ্ক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনী?

     

    বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের একটু বেশি। ফল ঘোষণা হবে ২ মার্চ