|
---|
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম: বীরভূম জেলার বুকে পাড়ুই নামটি সংবাদ মাধ্যমে বারবার দেখে আসা কিম্বা শুনতে শুনতে রাজনৈতিক দল সহ সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। সকলেই অবগত আছেন পাড়ুই থানার মাকড়া গ্রাম, সেই গ্রামের বাসিন্দা সেখ সামাদের হাত ধরেই বিজেপির বীরভুমে পরিচিতি বা লড়াই শুরু হয় তৃনমূলের বিরুদ্ধে। সেখ সামাদ তখন বিজেপির জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। রবিবার সেই সামাদ সেখ তার সহকর্মীদের নিয়ে বোলপুর তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে, তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সুপ্রিমো অনুব্রত মন্ডলের হাত ধরে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
আসন্ন পুরভোট যখন দোরগোড়ায় ঠিক সেই মুহুর্তে বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক পড়েছে বীরভূম জেলা ব্যাপী। তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর সেখ সামাদ জানান যে, এতদিন বিজেপি দলের হয়ে তৃনমূলের বিরোধিতা বা লড়াই করে এসেছি, কিন্তু বাংলার মানুষ গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রমান করে দিয়েছেন, বাংলার উন্নয়নের কান্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকৃতই বাংলার উন্নয়ন করেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের রায় তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষে গেছে সর্বত্রই, আমরা দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছি বাংলাতে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেই প্রয়োজন। আমাদের বীরভুমে অনুব্রত মন্ডলের মতো যোগ্য নেতৃত্বের দরকার জেলার উন্নয়ের জন্য,তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন মুখী কর্মকান্ডে সামিল হতেই স্বদলবলে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।আগামীতে আমাদের বহু সদস্য কর্মীরা ও তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন।বোলপুর তৃনমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মন্ডলের হাত থেকে তৃনমূলের দলীয় পতাকা হাতে যোগদান করেন সেখ সামাদ সহ বেশকিছু বিজেপি নেতা কর্মী।
এই যোগদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল, ক্ষুদ্র বস্ত্র কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক রানা সিংহ, সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
সামাদ সেখের যোগদানের পরে তৃনমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জানান, সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা অতনু র নেতৃত্বে রবিবার সামাদ সেখ সহ বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের ব্লক স্তরের সমস্ত নেতা কর্মীরা তৃনমূলে যোগদান করেছেন।রাজ্য সরকারের উন্নয়ন মুখী কর্মকান্ডে সামিল হতেই তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদেন। বিজেপি দল সম্পর্কে অনুব্রত মন্ডল জানান, ওরা পদ দিয়ে মানুষকে ঠুটো জগন্নাথ করে বসিয়ে রেখে দেন, ওখানে কেউ থাকবে না, আগামী কথা বলবে।
একদা বিজেপির লড়াকু নেতা সেখ সামাদ সহ স্বদলবলে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান বিষয়ে বিজেপি দলের পক্ষে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সেখ সামাদের বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান যে বিজেপির ভীত নড়িয়ে দিল সে কথা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।