যোগী সরকারকে হেলদোলহীন আচরণের জন্য কটাক্ষ করলেন স্বয়ং বিজেপি বিধায়ক

নতুন গতি নিউজ দেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে ডেঙ্গিতে ৪০ শিশুর মৃত্যু হলেও এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মণীশ আসিজা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হেলদোলহীন আচরণের জেরেই ফিরোজাবাদে ডেঙ্গিতে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই বিধায়ক। যদিও বিজেপি বিধায়কের দাবিতে আমল দিতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়প্রতাপ সিং। তাঁর কথায়, মিথ্যা দাবি করছেন ওই বিধায়ক, রাজ্য সরাকরের কাছে এব্যাপারে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।

    সংবাদসংস্থা পিটিআইকে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের বিজেপি বিধায়ক মণীশ আসিজা জানিয়েছেন, ফিরোজাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৪০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বয়স ৪-১৫ বছরের মধ্যে। সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিও-য় দেখা যাচ্ছে ওই বিধায়ক এলাকায় ডেঙ্গি ছড়ানোর জন্য স্থানীয় পুরসভার হেলদোলহীন আচরণকেই দায়ী করছেন। তাঁর অভিযোগ, এলাকায় মশার উপদ্রব রুখতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুর কর্তৃপক্ষ। যার জেরেই ডেঙ্গি মারাত্মক আকার নিচ্ছে। ওই বিধায়কের আরও অভিযোগ, ফিরোজাবাদের বেশ কিছু এলাকায় জলনিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বহু বাড়ির সামনেই আবর্জনার স্তূপ পড়ে রয়েছে। ময়লা-আবর্জনা সরাতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুর কর্তৃপক্ষ।

    স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে বিজেপি বিধায়ক মণীশ আসিজার দাবি, “আমি ক্যামেরার সামনে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এলাকা পরিস্কার রাখতে যোগী আদিত্যনাথের সরকার পুরসভাকে ৫০ টি গাড়ি দিয়েছে। ওই গাড়িগুলি গত এপ্রিল মাসে এসেছিল। গত শনিবারেই প্রথম ওই গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। আগের চার চার মাস গাড়িগুলিকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার জন্য পুর কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দফতরই দায়ী। পরিস্থিতি খুব খারাপ, আমি অত্যন্ত দুঃখিত।”

    দলেরই এক বিধায়ক যোগী সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ডেঙ্গিতে শিশু মৃত্যু নিয়ে আসিজার দাবি ভুল। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এমন কোনও রিপোর্ট আসেনি। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মথুরার কোহ গ্রামেও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১০ দিনে ওই গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮ জনই শিশু। গ্রামের আরও ৬ বাসিন্দা জ্বরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।