বিজেপির পাল্টা মিছিল তৃণমূলের

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:সামনেই বিধানসভা নির্বাচন আর তার ঠিক আগে শাসক থেকে বিরোধী দল সকলেই নেমে পড়েছে লড়াইয়ের ময়দানে।

    গত 22 শে জানুয়ারি মিছিল করেছিল বিজেপি। বিজেপির মিছিলের পাল্টা মিছিল করে জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি বিধানসভার মেমারি কলেজ মোড় থেকে বামুনপাড়া মোড় পর্যন্ত পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলে নেতৃত্বে ছিলেন মেমারি বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্ব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, মেমারি বিধানসভার বিধায়িকা নার্গিস বেগম, মেমারি 1 নম্বর ব্লক সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্য্য,যুব সভাপতি জিতেন্দ্র সিং,মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অচিন্ত্য চ্যাটার্জি ও যুব সভাপতি সৌরভ সাঁতরা সহ সকল নেতৃত্ব।
    এই মিছিলকে বিজেপির পাল্টা বলতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতিবাদ মিছিল। আজকের মিছিলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক পা মেলান, এমনকি শারীরিকভাবে অক্ষম তৃণমূলের কর্মী সমর্থকও এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।মহিলা কর্মী সমর্থক এর উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েক ঘণ্টার এই মিছিল মেমারি শহরকে পুরোপুরিভাবে স্তব্ধ করে দেয়।

    স্বপন দেবনাথ তার বক্তব্যে বলেন যে “আমাদের মিছিলে বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে আনতে হয় না, স্থানীয় তৃণমুল সমর্থকেরাই আজকের মিছিল কে পরিপূর্ণ রূপ দিয়েছে।”

    বিজেপির মিছিলের পর তৃণমূলের পাল্টা মিছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এবং এদিনের মিছিলের মাধ্যমেও ফের সাংগঠনিক শক্তি ও জনমতের ভিত্তি আরো একবার প্রদর্শন করে বিজেপিকে দেখেয়ে দিলো যে মেমারির জমিনে তাদের অবস্থান খুবই নগন্য বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষক মহল ৷

    অতনু ঘোষ এর রিপোর্ট,পূর্ব বর্ধমান