পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলের শালবনীতে গ্রামবাসীদের কাছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি

শুভ চক্রবর্তী শালবনী: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলের শালবনীতে গ্রামবাসীদের কাছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ৷ রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের কাশিজোড়া গ্রামপঞ্চায়েতের কেউদি গ্রাম ঘুরে দেখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ পাশাপাশি গ্রামের মানুষের অভাব অভিযোগ এর নানা কথা শোনেন গ্রামবাসীদের কাছে গিয়ে ৷ গ্রামের মহিলাদের নিয়ে একটি ছোট সভারও আয়োজন করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে৷ যেখানে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন গরীব মহিলারা নানা বঞ্চনার গল্প শোনান সুকান্ত মজুমদারকে ৷ পাশাপাশি পার্টি কর্মীদের নির্দেশ দেন এই সমস্ত মহিলাদের অভাব অভিযোগের কথা নামসহ যেন নথিভুক্ত করা হয়। ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ৷ এরপরে সাংবাদিকদের মুখো মুখি হন তিনি ৷ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নানা প্রসঙ্গে ৷ বিকেলে চন্দ্রকোনায় সম্প্রতি আত্মঘাতী আলুচাষীর পরিবারের সাথে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার,আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে প্রতিশ্রুতী দেন পাশে থাকার৷

     

    *জিতেন্দ্রানাথ তেওয়ারির গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ*

     

    আমি বলব এটা পলিটিক্যাল অ্যারেস্ট কারণ এক যাত্রায় কখনোই পৃথকফল হতে পারে না। তৃণমূল নেতাদের চিড়ে উৎসবে পদথিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল ছ-সাত জন। কিন্তু তারপরও কাউকে অ্যারেস্ট করা হয়নি। অথচ কম্বল বিতরণ উৎসবে তিনজন মারা যাওয়ায় জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক গ্রেফতার৷ আমাদের দল জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবং তার পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে।

     

    *সুকন্যা মন্ডলের ইডি হাজিরা এড়ানো*

     

    বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন মেয়ে। ইডি চাইলেই জোর করে ধরে নিয়ে যেতে পারে।

     

    *অনুব্রতর রাঁধুনির একাউন্টে ৬০ লক্ষ টাকা মেলার প্রসঙ্গে*

    মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত তৃণমূলের নেতাদের বাড়িতে বিজ্ঞাপন করে রাধুনী নিয়োগ করা উচিত। বেকার যুবকরা, প্রত্যেকের রাঁধুনির কাজ করবে আর ৬০ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে যাবে। অনুব্রতর মতো একজন জেলা সভাপতির রাধুনীর একাউন্টে যদি ৬০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়, তাহলে কোন মন্ত্রীর রাধুনীর একাউন্টে দ্বিগুন টাকা পাওয়া যাবে। আমরা যারা বিজেপি করি তারাও ভাবছি তৃণমূল নেতাদের বাড়ির রাঁধুনি হব।

     

    *ধরনা মঞ্চে নওশাদ সিদ্দিকীকে ধাক্কা প্রসঙ্গে*

     

    শুধু নওশাদ সিদ্দিকী কে নয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ধাক্কা দিচ্ছে তৃণমূল। কাজ হয়ে গেছে।সংখ্যালঘুদের বোকাবানিয়ে ভোট নিয়ে ভোট মিটে গেছে। আর সংখ্যালঘুদেরকে দরকার নেই তাই ধাক্কা মেরে তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। কাজের বেলায় কাজী কাজ ফুরোলেই পাজি। এর আগে সংখ্যালঘুদের নেমকহারাম বলেছেন তিনি।ফলে পুরো বিষয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভেবে দেখুক৷

     

    অয়ন শীলের বাড়িতে ইডি প্রসঙ্গে

    এরকম অয়ন কুন্তল অনেক আসবে। তৃণমূলের এই ধরনের এজেন্ট জেলায় জেলায় রয়েছে যারা চাকরি বিক্রি করেছে। এবং সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় খেটেছে, এমনকি টলিউডেও। তবে আসল মাথা ধরা না পড়লে এই চক্রের পর্দা ফাঁস হবে না।

     

    রাহুল গান্ধীর বাড়িতে দিল্লী পুলিশ যাওয়া প্রসঙ্গে

    আমরা যে যা রাজনীতি করি না কেন ভারতবর্ষের সম্মান রাখাটা আমাদের কর্তব্য ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে রাহুল গান্ধীর মত একজন বরিষ্ঠ নেতার একটু ম্যাচিউরিটি দেখানো উচিত। বয়স তো ৫০ পেরিয়েছে।

    আলু চাষী প্রসঙ্গ

    আলু চাষে কৃষকরা মাঠে রাম পাচ্ছে না, অথচ কলকাতায় আলু ৩০ টাকা করে কেজি। মাঝে তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাচ্ছে। তাছাড়া বিজেপি শাসিত রাজ্যে চাষীর মৃত্যুর কারণ আমাদের রাজ্যে মৃত্যুর কারণে থেকে আলাদা। সে কারণেই আমরা কৃষি বিল এনেছিলাম। কৃষিবিল লাগু হলে চাষি মৃত্যু ঘটতো না। কিন্তু বিরোধীরা ভুল বুঝিয়েছে।

    *নতুন করে অখিলেশ যাদবের মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন* –

    ” আমরা ওয়াশিং মেশিন কিনা জানিনা। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মা ছেলের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও অটোতে করে ভোট দিতে যেতেন। অন্যদিকে অখিলেশ যাদবের প্রয়াত বাবা একজন প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। এখন তার পরিবারের সম্পত্তি কতটা একবার দেখলেই বুঝতে পারবেন।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অখিলেশ যাদবের নতুন সম্পর্ক বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন –

    ” অখিলেশ যাদবের আগে উত্তরপ্রদেশের এক বুয়ার হাত ধরেছিলেন। সেখানে ওনার নৌকা ডুবেছে। হাতির হাত ধরে সাইকেল পাংচার হয়েছিল। এবার আরেকজন পিসির হাত ধরছে। পিসি নিজের ভাইপো কেই বাঁচাতে পারছেন না, এই বোধহয় জেলে ঢুকলো। অন্য সৎ ভাইপোকে কিভাবে বাঁচাবেন? “