প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপির মিছিল

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এর সুরাহা নেই। কিছুদিন আগেই টেট পরীক্ষার সমস্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর জেরে বিপদের মুখে পড়েছেন রাজ্যের হাজার হাজার যুবক-যুবতী। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ এখন যেন উপহাসের মতো শোনায়। এর বিরুদ্ধে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দিনের পর দিন বিক্ষোভ করলেও রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আজ, বুধবার ফের একবার নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে ও আরও নানান দাবীতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতার পথে নামলেন বিজেপি টিচার্স সেলের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।

    তাদের তরফ থেকে অভিযোগ আসে যে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের বেতন অপেক্ষকৃত কম। সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। এই মিছিলে তারা দাবী করেন যে রাজ্যে শিক্ষকদের একাধিক পদ খালি রয়েছে, সেই পদে অবিলম্বে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার দ্বারা শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এছাড়াও মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবী জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে এই রাজ্যেও যাতে প্রাক- প্রাথমিকে সরকারী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা যায়, সেদিকে সরকারের আলোকপাত করানো। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি সদর দফতরের সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বসু বলেন, সমাজ তৈরি করেন শিক্ষকেরা। কিন্তু এই রাজ্যে শিক্ষকদের নিয়েই দুর্নীতি হচ্ছে। তাদের প্রতিনিয়ত ভয় দেখানো হচ্ছে, তাদের উপর চলছে অত্যাচার। এভাবে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা আরও নীচে গিয়ে ঠেকেছে।

    এরপর রাজ্য সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করে রথীন্দ্রবাবু বলেন, বামপন্থী আমলেও এমন হয়েছে আর তৃণমূলের আমলে তো শিক্ষাব্যবস্থার চরম নিদর্শন আমরা দেখতে পেয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন শিক্ষকদের। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্তও নানান কুরুচিকর কথা বলছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের নানান দাবী নিয়ে মিছিলে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি এও বলেন যে শিক্ষকদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়ার কারণেই তারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন। এরপরও যদি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবী পূরণ না হয়, তাহলে পরবর্তীকালে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তারা।