সাঁইথিয়া থানার সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে বিস্ফোরণ মৃত ১

 

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে রবিবার এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। জানা গিয়েছে সাঁইথিয়া থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য বিলসা গ্রামে তার নিজের বাড়িতে বেলুনে গ্যাস ভরার ব্যবসা করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই ব্যবসা করে আসছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। রবিবার ওই গ্রামেরই এক যুবক বিপদতারণ বাগদিকে তিনি গ্যাস ভরার জন্য তার বাড়িতে ডাকেন। তারা বিড়ি খেতে খেতে বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন এমনটাই জানা গিয়েছে। বিড়ির আগুনের ফুলকির সাথে গ্যাসের সাথে সংমিশ্রনে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় ওই যুবকের সেখানেই মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত জোর ছিল যে বাড়ির দরজা জানালার বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে। এদিকে সিভিক ভলেন্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য এই ঘটনা ঘটায় ওই বাড়িতেই অপর একটি রুমে ঢুকে যান। ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামবাসীরা খুবই ফেটে পড়েন এবং ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর বাড়িতে চড়াও হন। সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে ভাঙচুর করতে থাকেন স্থানীয়রা। ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন তাঁরা। স্থানীয়দের অভিযোগ দুর্গাপ্রসাদ নিজে সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়ে বেআইনিভাবে গ্যাস সিলিন্ডারে করে বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ করছিলেন।
    ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেই স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এরপর পুলিশ ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে আনলে স্থানীয়রা ভলেন্টিয়ারকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
    গ্রামবাসীদের অভিযোগ সাঁইথিয়া থানা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে কিভাবে বেআইনিভাবে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার বেআইনি গ্যাস সিলিন্ডারের কাজ করছিলেন?
    মৃত ওই যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তার বাড়িতে স্ত্রী ও এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। বাড়ির তিনি একমাত্র রোজগেরে ছিলেন।
    স্থানীয়দের দাবি মৃত বিপদতারণ বাগদির পরিবারের ভরণপোষণের সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে।

    অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্যকে আটক করা হয়।