একই সঙ্গে বাবা-‌মা ও মেয়ে রক্ত দিয়ে নজর কাড়লেন

মালদা: একই সঙ্গে বাবা-‌মা ও মেয়ে রক্ত দিয়ে নজর কাড়লেন। থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হচ্ছে মালদা মেডিক্যালে। সেই উপলক্ষ্যে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে একসঙ্গে পাশাপাশি বেডে শুইয়ে রক্ত দিলেন তাঁরা। বাবা-‌মার সঙ্গে রক্ত দিতে পেরে নিজেকে খুবই ধন্য মনে করছেন সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া মেয়ে।
একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মালদাতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। ১০ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে মালদা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই রক্তদান শিবিরে একই সঙ্গে বাবা মা ও মেয়ে রক্তদান করে অনন্য নজির গড়ে তুলেছেন। ওল্ড মালদার বালা সাহাপুরে বাড়ি। গোপাল সরকার পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও তার স্ত্রী রূপকথা সরকার গৃহবধূ ও মেয়ে ঋষিকা সরকার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রী। এদিন তিনজনই একসঙ্গে মালদা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পাশপাশি বেডে একই সঙ্গে রক্তদান করেন। মেয়ে ঋষিকা সরকার আঠারো বছর পূর্ণ করার পর প্রথমবার বাবা মায়ের সাথে একসঙ্গে তিনজন রক্তদান করে রক্তদানের মহতি উদ্দেশ্যকে সার্থকরূপদান করলেন। ইতিমধ্যে বাবা মা জীবনে বহুবার রক্তদান করেছেন। তবে রক্তের সংকট দূরীকরণে ও রক্তদান কর্মসূচিকে সার্থক রূপায়নে, সামাজিক কাজ হিসেবে পরিবারের একই সঙ্গে তিনজনের রক্তদান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এদিন মূলত থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটের উদ্যোগে মালদা মিডিয়াম ক্লাবের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে এদিন গ্রন্থাগারিক তথা মিডিয়াম ক্লাবের আশিস বাগ এদিন রক্তদান করেন। জীবনে টানা ৬৯ বার রক্তদান করে নজির সৃষ্টি করলেন আশিস বাগ । তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রক্তদানের মতো মহৎ দান করে চলেছি। শরীর সুস্থ থাকলে সেঞ্চুরি করার সংকল্প রয়েছে। আমি চাই মানুষ রক্ত সংকটের কথা ভেবে এই রক্তদানে সর্বস্তরের মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে রক্তদান করুন এটাই অন্যতম লক্ষ্য। মালদা মেডিক্যালের সুপার জ্যোতিষ দাস জানান,‘‌খুব ভাল উদ্যোগ বাবা-‌মা-‌মেয়ের। তাঁদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই আসতে পারেন রক্ত দিতে। এর আগে আমাদের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত সঙ্কট মেটাতে আমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার রক্ত দান করেন। তারপর রক্ত সঙ্কট মেটাতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নার্স, কর্মীরা এগিয়ে আসেন। এভাবেই সকলকে রক্তদানের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা দরকার।’