নেতারা ব্যস্ত ভোটে, ব্লাড ব্যাংকে রক্তের হাহাকার এগিয়ে এল নিন্দা ও প্রতিবাদ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি

 

    মোঃ রিপন, বীরভূম: একে গরম। তার উপর ভোটের মরসুম। জোড়া ফলায় বদ্ধ হয়ে এখন বেজায় সংকটের রক্ত ​​সংগ্রহ। রাজত্ব বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক গুলিতে দেখা গেছে রক্তের হাহাকার। কেননা, রক্তদান শিবির আয়োজনে ভাটার টান। ঠিক এই সময়েই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চাদের রক্ষার্থে এবং সুবিধার্থে রক্তদান শিবির রক্ত ​​সংকট মেটাতে এগিয়ে আসে বীরভূম জেলার থানার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিন্দা ও প্রতিবাদ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।

    এদিনের এই রক্তদান শিবিরে রক্ত দান করেন মুরারই -২ ব্লকের কৃষি কর্মাদক্ষ শাহ আলম শেখ, ফজলুল হক ছাড়াও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়ারা। উদ্যোক্তারা জানান মোট 90 ইউনিট রক্তের এই ক্যাম্প ছিল। এর আগেও রক্ত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে বেশ কিছু রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক গুলিকে রক্তের জোগান দিয়েছে এই সংস্থা। এদিনের এই রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রক্ত আন্দোলনের সাথে যুক্ত বহু কর্মী, ছিলেন রাজেশ পালিত, নুরুল হক, রাজেশ মিশ্রা, সাহিত্যিক ধ্বজাধারী দত্ত ও দীনবন্ধু দাস।ইদ্রাকপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভাদীশ্বর শ্যামাপদ রায় বিদ্যাভবন এর প্রধান শিক্ষক নুরুল হোদা এছাড়া আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সাহিত্যিক দীনবন্ধু দাস এই রক্তদান শিবিরে এসে তাঁর লেখা দুটি বই উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেন। তিনি আরো বলেন আমি অত্যন্ত খুশি এই রক্তদান শিবিরে আসতে পেরে।আমি কুর্ণিশ জানাই নিন্দা ও প্রতিবাদ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিটি সদস্যকে ওরা যেভাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তা আগামী প্রজন্মকে নতুন পথ দেখাবে। রক্ত আন্দোলনের এক পুরনো সৈনিক নুরুল হক বলেন রক্তদান করা মানে একটি নতুন জীবন দান। তবে বিগত কয়েক বছর থেকে রক্ত নিয়ে কিছু অসৎ ব্যক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। আমাদের সকল রক্ত সৈনিকদের উচিত সেই অসৎ লোক গুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে সমাজের জন্য রক্ত আন্দোলন জারি রাখা।