|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: রাতের আঁধারে রক্তাক্ত তৃণমূল কর্মী, অভিযোগের তীর গেরুয়া শিবিরে। ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,মামার পরিবার বিজেপি সমর্থক। ভাগ্নে তৃণমূল নেতা। দোকানে বসে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের প্রচার করছিলেন ভাগ্নে। আচমকা দোকানে চড়াও হয়ে ভাগ্নেকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল মামা, তার তিন ছেলে ও তাদের দলবদলের বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রামপুরে শনিবার রাতে ওই হামলার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকার রাজনীতি। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা না করতে পেরে বিজেপি সমর্থক মামা দলবল নিয়ে ওই হামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে হামলায় গুরুতর আহত তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি আম্বার আলীকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আম্বার কে মারধরে জড়িত থাকার অভিযোগে মামা জাবেরুল ইসলাম তার তিন ছেলে, সাজেদুল ইসলাম, সজুল হক,মিস্টার শেখ সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। রাতে অভিযুক্তদের খোঁজে হানা দিলেও তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও বিজেপির দাবি আম্বার এর মামা বিজেপি করায় তাকে উদ্দেশ্য পূর্ণ ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল, তাড়া ঘটনাস্থলে কেউই ছিলেন না। এমনকি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা বলেও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।এই ঘটনা কে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর আম্বার রামপুর বুথের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি। নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় ওই এলাকায় আপাতত তিনি নেতৃত্বে রয়েছেন।
সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মামা জাবেরুল। তারপর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা ছিল। শনিবার রাতে তৃণমূল কর্মী সাব্বির আলীর ওষুধের দোকানে বসে এলাকার মানুষকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি প্রচার করছিলেন আম্বার। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রামপুরে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শিবির হওয়ার কথা। শিবিরে গেলে কি সুবিধা মিলবে তা নিয়েই তিনি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। অভিযোগ,ওই সময়েই আম্বার এর উপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। আম্বার এর পরিবার ও তৃণমূলের অভিযোগ মামা জাবেরুল তার তিন ছেলে ও দলবল নিয়ে আম্বার এর উপর হামলা চালিয়েছে,ভাঙচুর করা হয় ওষুধের দোকানেও। হামলায় রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পরেন আম্বার। হইচই শুনে বাসিন্দারা ছুটে আসতে আম্বার কে ফেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রাই আম্বার কে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করান।
আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি আম্বার আলির অভিযোগ,দুয়ারে সরকারের প্রচার চালনোই হঠাৎই একদল বিজেপি কর্মী আমার উপর হামলা চালায়। বাঁশ,লাঠিসাটা ও সাবল দিয়ে আঘাত করে। বিজেপিক কর্মী সাজেরুল ইসলাম অবশ্য ঘটনাটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তৃণমুল নিজেরাই লড়ে যাচ্ছেন।গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরেই রক্তাক্ত হচ্ছে তৃণমূল বলে দাবি।বিজেপি করায় ওরা ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। বিজেপির দুস্কৃতীরাই এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান। বিজেপি তৃণমূলকে এইভাবে ভেঙে ফেলতে পারবে না। সরাসরি রাজনীতির ময়দানে আসুক। ওখানেই খেলা হবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি।
মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম অবশ্য বলেন,ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল নানান রকম চক্রান্ত চালাচ্ছে আমাদের কর্মীদের উপর।জাবেরুল, তার তিন ছেলে সহ আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।তাদের ফাঁসানোর জন্য তৃণমূল নিজেরা লড়ে নাটক তৈরি করেছে।তাদের অস্তিত্ব শেষ তারা বুঝে গেছে।