|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। একাধিক জায়গায় তার ঘনিষ্ঠদের থেকে উদ্ধার হচ্ছে সম্পত্তি, মিলছে নানা যোগসূত্র। তবে এ সবের সঙ্গে আবার নাম জড়িয়েছে বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর।
গ্রেফতার হওয়ার ঠিক আগে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে বিতর্কের মধ্যে জড়ান এই বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। যদিও বিতর্ক চলাকালীন তিনি দাবি করেছিলেন, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরীর ফোনের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিলেন ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারী এবং তার সহযোগীদের।বিতর্কে জড়ানো এই হাসপাতাল সুপার এ যাবৎ ছুটিতে ছিলেন বলেই জানা যায় হাসপাতাল সূত্রে। এরমধ্যে সোমবার সকালে তিনি হাওড়া আজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস চড়ে বোলপুর রেল স্টেশনে নামেন। বোলপুর রেল স্টেশনে নামার পর তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দেখা যায়। কিন্তু এরপর সেখানে সাংবাদিকরা ভিড় করলে ক্যামেরা দেখে তিনি ফের অন্য একটি ট্রেনে চেপে অন্যত্র কোথাও রওনা দিয়ে দেন।বোলপুর রেল স্টেশনে হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর চালচলন এবং হাবভাব স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছিল তিনি কোনভাবেই ক্যামেরার সামনে আসতে চাইছেন না। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে কেনই বা তিনি এইভাবে ক্যামেরা থেকে দূরে সরে থাকতে চাইছেন? সংশয় তৈরি হচ্ছে তাহলে কি তিনিও এই বিতর্কে সরাসরি জড়িত? যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বারবার একটি কথাই বলেন, ‘এখানে কিছু বলা যাবে না’। এরপরেও একটি প্রশ্ন উঠছে, তিনি যদি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানো নিয়ে কোনরকম দায়ী না হয়ে থাকেন তাহলে কেন ফের অন্য একটি ট্রেনে চড়ে অন্যত্র রওনা দিয়ে দিলেন!