শেখ হাসান এর মেয়ে বিবাহের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছিল বড়শুল কিশোর সংঘ

২ জুলাই, সেখ সামসুদ্দিন : পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুল কিশোর সংঘ সারা বছরই নিজেদের নানান সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে নিয়েজিত রাখেন। সাধারণত যে সমস্ত সামাজিক কর্মসূচির মধ্যে এতদিন নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিলেন তার থেকে একটু বেরিয়ে আরো একধাপ এগিয়ে এদিন এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিবাহে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে জেলার মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বড়শুলের কুমির কোলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ হাসান লকডাউনে কাজ হারিয়ে মেয়ের বিবাহ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এরকম পরিস্থিতিতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিবাহের সমস্ত ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছিল বড়শুল কিশোর সংঘ। এদিন শেখ হাসানের কন্যা রুপসার সাথে জামির উদ্দিনের বিবাহ সম্পন্ন হল সমস্ত ধর্মীয় রীতি রেওয়াজ মেনে। পাশাপাশি বড়শুল কিশোর সংঘ তাদের কথা রাখলো। রূপসার বাবা ও মা জানান, দুই নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করতে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও রায়না বিধানসভার বিধায়িকা শম্পা ধাড়া, বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, বর্ধমান ২ নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুবর্ণা মজুমদার, সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবনাথ সাধুখাঁ, শক্তিগড় থানার অফিসার ইন চার্জ কুনাল বিশ্বাস, মাউন্ট ইউনাম জয়ী মেমারির ভূমিপুত্র মোহাম্মদ নওয়াজ সহ জেলা, ব্লক ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আজকের এই বিবাহ সম্পর্কে বড়শুল কিশোর সংঘের সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান, ক্লাব মানে শুধু মাত্র ক‍্যারাম বা তাস খেলার জায়গা নয়, ক্লাব মানে সামাজিক দায়বদ্ধতা। সেটাই প্রমাণ করলো বড়শুল কিশোর সংঘ।নবদম্পতির এই চার হাতের মেলবন্ধন যেন সারা জীবন অটুট থাকে এই শুভেচ্ছা রইল। আমাদের পক্ষ থেকে এবং বড়শুল কিশোর সংঘ আগামী দিনে আরো বেশি করে মানবিক কাজের মধ্যে নিয়োজিত থাকবে এই আশা রাখি।