এসএসকেএমের টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রাণ বাঁচল শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের  ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর

নিজস্ব সংবাদদাতা : এসএসকেএম থেকে নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল  ঠিক কত দূর? অঙ্কের হিসেব বলবে, ১৩৮ কিলোমিটার। কিন্তু আন্তরিক চেষ্টায় সেই দূরত্ব ‘অতিক্রম’ করে গেলেন চিকিৎসকরা । প্রাণ বাঁচল ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর।গল্পকথা নয়, একেবারে বাস্তব। একটু খোলসা করে বলা যাক? বুধবার রাতে আচমকাই যমে-মানুষে টানাটানি অবস্থায় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত বৃদ্ধের অবস্থা তখন আশঙ্কাজনক। শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। কিন্তু সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ তখন। প্রাণ বাঁচাতে হবে তো! এদিকে অন্য কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াতেও আশঙ্কা। অতঃপর স্বাস্থ্য দফতরের ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ প্রকল্পের সাহায্য নেন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।কী ভাবে কী করতে হবে সে ব্যাপারে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেখানকার ডাক্তারদের পরামর্শ দিয়ে যান এসএসকেএমের ডাক্তাররা। সেই মতো চিকিৎসা শুরু হয় বৃদ্ধের। ফল? রোগী বিপম্মুক্ত, জানাচ্ছেন ডাক্তররা। শুধু তাই নয়, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে, বলছেন তাঁরা। এজন্য টেলিমেডিসিনে পরামর্শের ভূমিকা অনেকটাই, মানছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ৪ মাস ধরে জেলায় জেলায় এই পরিষেবা দিচ্ছেন এসএসকেএমের চিকিত্‍সকরা। এখনও পর্যন্ত ১৭টি স্বাস্থ্য জেলার সরকারি হাসপাতালে এই টেলি মেডিসিন পরিষেবা শুরু হয়েছে। আগামীদিনে সারা রাজ্যে ৭০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরিষেবার মাধ্যমে নিউরো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ারও ইচ্ছা রয়েছে। তখন হয়তো আরও সহজে অনেকের প্রাণ বাঁচানো যাবে, সুস্থ করে তোলা যাবে বহু মানুষকে। রেফারের অপেক্ষায় মর্মান্তিক পরিণতি এড়ানো যাবে সহজে। এই ঘটনার পর সেই আশাই উজ্জ্বল হল, মনে করছেন অনেকে।