|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: সামনে ২০২১ নিবার্চন, রাজ্য রাজনীতি খুব উত্তপ্ত। ‘বাংলার নিজের মেয়েকেই চায়’ আবেগ উস্কে তৃণমূলের নয়া স্লোগান। বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে দলের নতুন স্লোগান শনিবার সামনে আনল তৃণমূল। এক লাইনের সেই স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই আসন্ন নির্বাচনে ‘ঝাঁপাবে’ দল, এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’–একুশের বিধানসভা ভোটে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই লড়াইয়ের ময়দানে নামছে রাজ্যের শাসক শিবির। শুক্রবারের অনুষ্ঠানে এই চার শব্দের স্লোগান লেখা পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গেল গোটা তৃণমূল ভবন। তবে এবার চমকপ্রদ বিষয়, কেউ যদি প্রার্থী হতে চায়, সেক্ষেত্রে তৃণমূল ভবনে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন।
এর মধ্যেই তৃণমূল ভবনে বসানো হয়েছে ড্রপ বাক্স। বাংলার গর্ব মমতা’র পর এবার আবেগ উস্কে তৃণমূলের নয়া স্লোগান আবেগ উস্কে তৃণমূলের নয়া তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া স্লোগান। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে এই নতুন স্লোগানের উদ্বোধন করলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটের মুখে নতুন স্লোগান প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল। রীতিমতো কর্পোরেট ধাঁচে অনুষ্ঠান করে এদিন লঞ্চ করা হল এই স্লোগান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ওব্রায়েন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা।
ইতিমধ্যেই ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ শীর্ষক বেশ কিছু ব্যানার পড়েছে শহর জুড়ে৷ শাসক-বিরোধী বাগযুদ্ধে সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। ভোটের আগে মোদী-শাহ সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যে ঘন ঘন আসছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ঘরের মেয়ে’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল। স্লোগানের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী পদে যখন বিরোধিরা মুখ খুঁজে চলেছে আমাদের তখন একটাই মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শনিবার তৃণমূল ভবনে এই স্লোগানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায় এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার। নতুন স্লোগান সম্পর্কে সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে বাংলার সমস্ত মানুষের কাছে তৃণমূলের হাজার হাজার কর্মীরা পৌঁছবেন। সারা রাজ্য ঘুরে আমাদের কর্মীরা উপলব্ধি করেছেন বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের হাতেই সুরক্ষিত।
তৃণমূল-এর বরাবরেরই অভিযোগ ‘অবাঙালি’ ‘বহিরাগত’দের এনে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সার কথা, যাঁরা বাংলার মানুষকে চেনেন না, বাংলার সংস্কৃতি জানেন না, তাঁরা নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ, বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিকেই হাতিয়ার করছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিভিন্ন জনসভায় দলীয় নেতানেত্রীদের কথা থেকে তা পরিষ্কার। দলের নতুন স্লোগানেও সেই ভাবনারই চিহ্ন স্পষ্ট। অর্থাৎ এ বারের ভোটে মমতা প্রার্থী হচ্ছেন ‘বাংলার নিজের মেয়ে’ হিসাবে।
আগের নির্বাচনগুলিতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্লোগান তৈরি করেছেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের স্লোগান তাঁর তৈরি নয়। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ তৈরি করেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। এর আগের ‘দিদিকে বলো’ ও ‘বাংলার গর্ব মমতা’ তাঁরই তৈরি।
‘দিদিকে বলো’ বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছিল। তাই বাংলার আগামী বিধানসভা ভোটে স্লোগানের দায়িত্বে ছিলেন প্রশান্তই। পিকে-র স্লোগানগুলিতে ব্যক্তি মমতাই বেশি প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। নতুন স্লোগানেও সেটা লক্ষ্যণীয়। এ বারের ভোটে তৃণমূল যখন বিজেপি-র বিরুদ্ধে ‘বহিরাগত’ তকমা লাগিয়ে সরব হচ্ছে, সেই আবহে মমতাকে বাংলার ‘নিজের মেয়ে’ সম্বোধন করে বার্তা দিতে চাইল তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচনের প্রাক্কালে অনেক রাজনৈতিক দল ঘুরে বেড়াচ্ছে।